Omicron in Netherland: করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-র তথ্য অনুসারে,৭৭ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার তুলনায় দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে। এরইমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনও কোনও দেশে সংক্রমণের শৃঙ্খল ছিন্ন করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে লকডাউন জারি, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে কোভিড ১৯ মোকাবিলার রণকৌশল নির্ধারনের ব্যাপারে ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের পরামর্শদাতা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (Health Expert) বলছেন, ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে।
নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো জে ডং (Hugo de Jong) গত শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, সরকার করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের ক্রমবর্দ্ধমান সংক্রমণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, আমি নিজে থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলব না। কিন্তু সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলবে। উল্লেখ্য, ওমিক্রন সংক্রমণ সংক্রান্ত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সরকার আজ অর্থাৎ শনিবার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। এই বৈঠকে ওমিক্রন সংক্রমণের শৃঙ্খল ভঙ্গ করতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে, সেগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য়, নেদারল্যান্ডসে গত নভেম্বরেই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে লোকজন হিংসাত্মক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রতিবাদ আন্দোলনের সময় পুলিশের পাল্টা ব্যবস্থায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। উল্লেখ্য়, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসে এটাই প্রথম প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছিল না। এর আগেও গত জানুয়ারিতে পূর্ণ লকডাউনের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন লোকজন।
উল্লেখ্য়, গত বুধবারই ব্রিটেনে সর্বাধিক দৈনিক করোনা সংক্রমণের খবর সামনে এসেছে। ওই দিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। আর এই ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের মধ্যেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ভারতও পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংকট দেখা দিলে তার মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।