নয়া দিল্লি : উৎসবের আবহে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে নতুন গবেষণা চিন্তা বাড়াল। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে সুরক্ষা প্রদানকারী অ্যান্টিবডির পরিমাণ ক্রমাগত কমছে। ইজরায়েলের প্রায় ৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর এই সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। যে গবেষণাপত্র নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে। 


গবেষণায় বলা হয়েছে, বুস্টারের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, কয়েক মাসের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কম অ্যান্টিবডির কারণে মহিলাদের থেকে পুরুষদের সুরক্ষা কম। এই পরীক্ষায় যোগদানকারীরা ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন।


দ্বিতীয় ডোজের পর অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যাওয়া :


প্রথমে দ্রুত গতিতে অ্যান্টিবডির মাত্রা কমতে দেখা গেছে। তার পর ধীরে ধীরে। সেবা মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষণা অনুযায়ী, বয়স্ক ব্যক্তিদের রক্তে কম বয়সিদের তুলনায় অ্যান্টিবডির মাত্রা কম ছিল। এছাড়াও, ইমিউনোসাপ্রেসড মানুষের অ্যান্টিবডির মাত্রা স্বাস্থ্যকর জনসংখ্যার তুলনায় কম ছিল। 


আরও পড়ুন ; শেষ হয়নি দ্বিতীয় ঢেউ, উৎসবের মরশুমে গা-ছাড়া মনোভাবে ফের বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ, সতর্কবার্তা কেন্দ্রের


ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, রেগেভ-ইয়োচে এক অনলাইন প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন, এই গবেষণাটি তাঁদের করোনা ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণের কারণ বুঝতে সাহায্য করেছে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে, আমেরিকা সম্ভবত ইজরায়েলের পথেই সবাইকে তৃতীয় ডোজ দেওয়ার পথে হাঁটবে।


আরও পড়ুন ; দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা ২০৫ দিনে সর্বনিম্ন


একই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে কাতারে পরিচালিত আরেকটি গবেষণাপত্র। তাতে ফাইজার-বায়োএনটেক শটের কার্যকারিতা একই সময়ের মধ্যে ম্লান হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের পর প্রথম মাসে, সুরক্ষার মাত্রা ৭৭.৫ শতাংশ পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ডোজের পাঁচ থেকে সাত মাস পরে সুরক্ষাবলয় নেমে যাচ্ছে ২০ শতাংশে।