ঢাকা: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের আবহেই বাংলাদেশ নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল চিন। ভারতের প্রতিবেশী দেশে বাংলাদেশ থেকে রফতানিকৃত পণ্যে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করে দিল শি জিনপিংয়ের দেশ। এই মুহূর্তে চিনে ৩ হাজার ৯৫টি বাংলাদেশি পণ্যে কোনও রকম শুল্ক নেওয়া হয় না। জুলাই থেকে আরও ৫ হাজারের ওপর বাংলাদেশি পণ্যে ৯৭ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেওয়ার কথাও এবার জানিয়ে দিল চিন। যার ফলে আগামী মাস থেকে চিনে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য একেবারে ‘ডিউটি ফ্রি’ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : করোনা টিকা বার করে ফেলেছেন, দাবি নাইজিরীয় বিজ্ঞানীদের
যখন একদিকে লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা চলছে, তখন বাংলাদেশ নিয়ে চিনাদের এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়া ও আফ্রিকার একাধিক দেশ নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছিলেন, এক বছরের মধ্যেই তুলনামূলক কম উন্নত দেশগুলোর জন্য চিনা বাজারকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। নেওয়া হবে না শুল্ক। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের একেবারে মাঝামাঝি সময় থেকে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আর চিন এই সিদ্ধান্ত নিল শি জিনপিং ও শেখ হাসিনার আলাপ-আলোচনার মাসখানেকের মধ্যেই।
আরও পড়ুন : বেশি টেস্ট মানে বেশি সংক্রমণের হদিশ, তাই টেস্ট কমাতে বলেছেন ট্রাম্প!
২০ মে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, এই আলোচনায় চিন আশ্বস্ত করে, ‘করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ’। এই মুহূর্তে চিনের অন্তত ৫টি শীর্ষ সংস্থা কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। চিনের দাবি, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের বিশ্বব্যাপী ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে। মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক প্রসঙ্গে চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, “বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু, অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে।”
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫১ জন। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১২ হাজার ৩০৬ জন মানুষ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জন করোনা রোগীর। সব মিলিয়ে গোটা দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৪৬৪।