মুম্বই: মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিলেন ফিলিপিনসের এক নার্স। তিনিই সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, দাউদ ইব্রাহিম মারা গিয়েছে। ওই নার্সকে দুবাইয়ের এক কর্পোরেট হাসপাতাল থেকে নিজের দেখভালের জন্য নিয়ে গিয়েছিল দাউদ। মৃত্যুর খবর ছড়াতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ওই নার্সের কী হল, তার আর কোনও খবর নেই।


৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ কিন্তু দিব্যি আছে পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচিতে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা মুড়ে রেখেছে তাকে। তার দুপায়ে ভয়ানক গ্যাংগ্রিন হয়েছিল, তৈরি হয়েছিল কেটে বাদ দেওয়ার পরিস্থিতি। কিন্তু অপারেশনের পর সামলে উঠেছে সে।

ভারতীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ১৯ এপ্রিল করাচিতেই বেয়াই জাভেদ মিয়াঁদাদের বাড়িতে এক পার্টিতে দাউদকে দেখা যায়। দাউদের মেয়ে মাহরুখের বিয়ে হয়েছে মিয়াঁদাদের ছেলে জুনেদের সঙ্গে। এই জুনেদই ১৯ তারিখের পার্টির আয়োজক।

আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে গণ্য দাউদের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আইএসআই। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের একেবারে ভেতরে, এক নম্বরে পাহারায় রয়েছে তার সবথেকে বিশ্বাসী ডান হাত জাভেদ চিকনা। এই জাভেদ চিকনাও মুম্বই বিস্ফোরণের অন্যতম ওয়ান্টেড। তারপর নিরাপত্তার দ্বিতীয় বলয়ে আইএসআই, তৃতীয়টিতে পুলিশ। আইএসআইয়ের আশঙ্কা, ডি কোম্পানির মধ্যে কোনও চর ঢুকেছে। তাই দাউদের নিরাপত্তা এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।