উল্লেখ্য, পাহাড়ি দেশ নেপালের অনেক বাসিন্দাই ভারতে দিন মজুর হিসেবে কাজ করে জীবনধারন করেন, অনেকেই চিকিত্সার জন্য ভারতে আসেন বা দৈনন্দিন জিনিসপত্রের জন্য তাঁদের ভারতের বাজারেই আসতে হয়। কাজেই নেপালের নাগরিকদের কাছেও প্রচুর ভারতীয় নোট রয়েছে। এবার ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করায় নেপালের বহু নাগরিকই সমস্যায় পড়েছেন।
এছাড়াও নেপালের যে সব বাসিন্দারা ভারতে তীর্থ করতে এসেছেন এবং আন্তর্সীমান্ত ব্যবসায় যুক্ত, তাঁদের হাতেও রয়েছে ভারতের বাতিল নোট।
অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের বাতিল নোটের বদলে নতুন নোট না পেলে নেপালের অনেক নাগরিকেরই সমস্ত সঞ্চয়টাই নষ্ট হয়ে যাবে। এ কথা জানিয়েছে ফেডারেশন অফ নেপাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
প্রচণ্ডর অনুরোধের উত্তরে মোদী জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবেন এবং এ জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে তিনি নেপালের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলবেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার আচমকা নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর নেপাল রাষ্ট্র ব্যাঙ্ক (এনআরবি)ও গত বুধবার থেকে ওই নেপালে ওই নোটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এনআরবি-র হিসেবে অনুযায়ী, সে দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে ভারতের বাতিল নোটে প্রায় ৩৩.৬ মিলিয়ন টাকা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ভল্ট ও এনআরবি-র কাছে রয়েছে ওই টাকা।
যদিও বাস্তবে এর পরিমাণ আরও অনেক বেশি। কারণ, আগে নেপালের নাগরিকদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভারতের ৫০০ ও ১০০০ টাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।