দুই রাষ্ট্রনেতা ও তাঁদের সঙ্গে থাকা কূটনীতিকদের বৈঠকের পর আলাদা আলাদা বিবৃতি দেন মোদী-ট্রাম্প দু'জনেই। সেখানেই জানান, দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতার প্রধান লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদের নির্মূলকরণ। তবে কারও বিবৃতিতেই এইচ-ওয়ানবিওয়ান ভিসা সংক্রান্ত কোনও প্রসঙ্গ উঠে আসেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর ও মোদীর মধ্যে প্রধান মিল হল, নিজের নিজের দেশের রাজনৈতিক আঙিনায় তাঁরা বহিরাগত বলে পরিচিত। তিনি ঠাট্টার ছলে বলেন, তাঁর ও নরেন্দ্র মোদীর আরও একটি বিষয়ে মিল, তা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের আগ্রহ। তিনি গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছেন, যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার আন্তর্জাতিক নেতা।
সন্ত্রাসবাদ রোখা ও এই সংক্রান্ত গোপন তথ্য ভাগাভাগি করার বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ও আর্থিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দু'দেশ। মোদী জানিয়েছেন, এর ফলে দু'দেশেরই আর্থিক বৃদ্ধি যেমন হবে, তেমনই হবে কর্মসংস্থান। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও বড় ভূমিকা নিতে পারবে ভারত-আমেরিকা। তাঁর কথায়, ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট তাঁর স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়ারই প্রতিরূপ। নীতিগত এই দুই লক্ষ্য পূর্ণ হলে দু'দেশই আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেকে প্রকৃত ভারতবন্ধু বলে বর্ণনা করেন তাঁর বিবৃতিতে। বলেন, ভোটপ্রচারের সময় তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ভারত হোয়াইট হাউসে তাদের প্রকৃত বন্ধু পাবে। আর ঠিক সেটাই তারা পেয়েছে- একজন প্রকৃত বন্ধু।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বোঝাপড়া ইন্দো-মার্কিন দু'দেশের পক্ষেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাস দুদেশেই হানা দিয়েছে। তাই একসঙ্গে এর মূলোচ্ছেদ করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মোদী আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, একইসঙ্গে সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যগুলিকেও ধ্বংস করা তাঁদের লক্ষ্য। যদিও পাকিস্তানের নাম সরাসরি করেননি তিনি।
নৌক্ষেত্রেও ইন্দো-মার্কিন সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, এর ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।
জিএসটির প্রসঙ্গ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের ইতিহাসে করক্ষেত্রে এত বড় সংস্কার আগে কখনও হয়নি। আমেরিকাও হাঁটছে ওই পথে। ভারত বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতি। তাঁর বিশ্বাস, আমেরিকাও দ্রুত ছুঁয়ে ফেলবে ভারতকে।