বেজিং: ডোকলাম (ডংলঙ) নিয়ে ভুটানের অভিযোগ অস্বীকার করে এই বিতর্কিত অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করল চিন। আজ চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রা লু কাং বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক প্রমাণ থেকে আমরা দেখতে পাই, ডোকলাম তিব্বতের বাসিন্দাদের চিরাচরিত চারণভূমি। ১৯৬০ সালের আগে পর্যন্ত ভুটানের বাসিন্দারা সেখানে গবাদি পশু চরাতে গেলে চিনের অনুমতি নিতে হত। আমরা ওই অঞ্চলে ভালভাবে প্রশাসন চালাচ্ছি। ডোকলাম আমাদেরই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

লু কাংয়ের আরও দাবি, ১৬৩৬ সালে কিং রাজবংশের সময় থেকেই ডোকলাম চিনের দখলে। তিব্বতের তৎকালীন সম্র্রাট ও কিং রাজবংশের সম্রাট সীমান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। ১৮৯০ সালে চিন-ব্রিটিশ চুক্তিতেও ডোকলামকে ভারত, চিন ও ভুটানের সীমান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে ডোকলাম চিনেরই অঞ্চল।

ডোকলামে চিনের সেনাবাহিনীর শিবিরের দিকে বেআইনিভাবে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ভুটান। অবিলম্বে এই রাস্তার কাজ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে ভুটান। এই দাবি খারিজ করে দিয়ে লু কাং বলেছেন, চিন নিজেদের অঞ্চলেই রাস্তা তৈরি করছে। এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।

গতকালই ভুটানের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করে ডোকলামে চিনের রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি জানায়। ভুটানের এই অবস্থানকে সমর্থন করেছে ভারত। তবে চিন দু দেশেরই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। সীমান্ত বিরোধ মেটানোর জন্য আলোচনা শুরুর পূর্ব শর্ত হিসেবে সিকিম থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করারও বার্তা দিয়েছে চিন।