নিউইয়র্ক: ডোকলাম নিয়ে ভারত-চিন অচলাবস্থা দিনকে দিন জটিল হয়ে উঠছে। এই সমস্যার সমাধান এখনই প্রয়োজন। এরজন্যে ভারত ও চিনের এখনই সরাসরি কথা বলা প্রয়োজন। দুদেশের প্রতিনিধিদের ফোন করে বলল মার্কিন প্রশাসন।
ডোকলামকে কেন্দ্র করে দুমাস ধরে ভারত-চিন সীমান্তে অস্থিরতা চলছে। দুদেশের কেউই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এক পাও পিছু হটতে নারাজ। এই অচলাবস্থা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এবিষয়ে তাঁদের মতামত কী? মার্কিন কংগ্রেসের মুখপাত্র হিথার নৌআর্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা দুদেশের প্রতিনিধিকেই ফোন করেছিলেন। এখনই বসে সরাসরি আলোচনা করে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে গত ১১ অগাস্টও মার্কিন কংগ্রেসের তরফে ভারত ও চিনকে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করে ডোকলাম সমস্যা মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, চিনের সঙ্গে ভারতের সমঝোতার যে খবর সংবাদমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছিল, সেই খবর সঠিক নয় বলে দাবি করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। সম্প্রতি, এক সূত্রের তরফে দাবি করা হয়, ভারত দাবি তুলেছিল ডোকলামে যেখানে চিন সেনা বাহিনী মোতায়েন করেছে, সেখান থেকে আড়াইশো মিটার পিছিয়ে মোতায়েন করা হোক সেনা। রিপোর্টে বলা হচ্ছিল, ভারতের দাবি মতো ১০০ মিটার পিছিয়ে বাহিনী মোতায়েন করেছে চিন। সেই খবর একবারে অসত্য বলে পরে দাবি করে চিনা বিদেশ মন্ত্রক। চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও অবস্থাতেই নিজেদের সীমান্তে সমঝোতা করবে না বেজিং।
প্রসঙ্গত, ডোকলাম ইস্যুতে চিনের মনোভাব একাধিকবার পরিস্কার করে দিয়েছে সেদেশের প্রশাসন। তারা বলেছে, কোনও রকম আলোচনায় বসার আগে, ভারতকে ডোকলাম থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে হবে। এমাসের শুরুতেই চিনা বিদেশমন্ত্রক দাবি করে, ডোকলামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ শুধুমাত্র চিনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেনি, ভুটানের স্বাধীনতায়ও হস্তক্ষেপ করেছে।
যদিও, পরে চিনের সেই দাবি সরাসরি খারিজ করে দেয় ভুটান সরকার।
Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ডোকলাম:ভারত-চিন সরাসরি কথা বলে সমস্যার সমাধান করুক, দাবি মার্কিন প্রশাসনের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
16 Aug 2017 10:30 AM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -