নয়াদিল্লি : আমেরিকায় নির্বাচনের আগে এবার বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আর ৪ দিন বাকি। তার আগে এবার দীপাবলি - বার্তায় একযোগে কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেনকে আক্রমণ করলেন তিনি। একদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার ইস্যু নিয়ে সরব হলেন, সেই সঙ্গে জুড়ে দিলেন মার্কিন মুলুকে বাইডেন আমলে 'হিন্দুদের প্রতি অবহেলা' নিয়ে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির শাসনে আমেরিকাতেও হিন্দুরা সঙ্কটেই, অভিযোগ ট্রাম্পের।
বৃহস্পতিবার দীপাবলি উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আবারও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। নির্বাচন আসন্ন। তার আগেই সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রসঙ্গে সরব ট্রাম্প। তীব্র নিন্দা করলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনার। খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে বলে দাবি করেছেন রিপাবলিকান পার্টির নেতা। দলবদ্ধভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও লুঠপাট চালানো হচ্ছে বলেও সোশাল মিডিয়া পোস্টে অভিযোগ করেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, বাংলাদেশে চূড়ান্ত অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমার নজরে থাকলে এমনটা কখনই হতে পারত না। সেই সঙ্গে বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে তিনি লেখেন, আমেরিকা ও বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের প্রতি অবহেলা করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের আশ্বাস, রিপাবলিকান পার্টির সরকার এলে আমেরিকায় হিন্দুদের অধিকার সুরক্ষিত হবে বলে আশ্বাসও দেন। ধর্মীয় ভেদভাব ও বামপন্থী আগ্রাসন থেকে আমেরিকার হিন্দুদেরও রক্ষা করার বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ।
ট্রাম্পের আশ্বাস, কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেন সারা বিশ্বে এবং আমেরিকাতে হিন্দুদের উপেক্ষা করে চলেছে। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন থেকে আমাদের আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত পর্যন্ত বিপর্যয় ঘটিয়ে চলেছেন তাঁরা। কিন্তু আমরা আমেরিকাকে আবার শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমেরিকার হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের বার্তা, তিনি ক্ষমতায় ফিরলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুদ হবে। তাঁর শাসনে 'ভাল বন্ধু' প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হবে।
গত ৫ অগাস্ট তীব্র ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়ে বাংলাদেশে পতন ঘটে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর বাংলাদেশে তৈরি হয় নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অশান্ত পরিবেশের মধ্য়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকে পড়শি দেশের কোনা কোনা থেকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। যদিও বারবার শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস, কিন্তু তার পরও নিরাপত্তা দাবি করে পথে বসেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এই পরিস্থিতি চলছে গত ৩ মাস ধরে। তারই মধ্যে এই বার্তা ট্রাম্পের।
আরও পড়ুন :