ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর শুক্রবার এক ঐতিহাসিক নির্দেশিকায় সই করলেন। সাতটি দেশ থেকে শরণার্থীদের আমেরিকায় ঢোকায় রাশ টানতে একটি নতুন নির্দেশিকা আনছে মার্কিন প্রশাসন। সেই নির্দেশিকা কার্যকর করতেই তত্পর ট্রাম্প। ঘটনাচক্রে যে দেশগুলির উদ্বাস্তুদের আমেরিকায় প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে, সেগুলি মুসলিম অধ্যুষিত। দেশগুলি হল ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।
তবে ট্রাম্প সিরিয়ার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি বিশেষ নরম মনোভাব নিয়েছেন। তাঁদের দিকে মার্কিন প্রশাসনকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। সিরিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলা গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত। সেখান থেকে উদ্বাস্তু হিসেবে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বহু খ্রিষ্টান।


প্রসঙ্গত, গত বছর নির্বাচনী প্রচারের সময়ই ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন মুসলিমপ্রধান কয়েকটি দেশ থেকে শরণার্থীদের ভিড়ে মিশে গিয়ে যেভাবে জঙ্গিরা মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করছে, সেটা তিনি রুখবেন। ক্ষমতায় আসার পরই তা কার্যকর করছেন তিনি। তবে তাঁর এই উদ্যোগের কঠোর সমালোচনা করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিরা। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়, অক্সফ্যামের মতো এমন কিছু সংগঠন ও মানুষের মানবাধিকার রক্ষাকারী বেশ কিছু সংগঠনের দাবি, এমন নির্দেশিকা ক্ষতিকারক, নিন্দনীয় ও পক্ষপাতমূলক।

ট্রাম্পের সই করা এই নির্দেশিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ খুব শীঘ্রই সেই তথ্য প্রকাশ করবেন বলে জানা গিয়েছে।

রিপাবলিকান প্রতিনিধি মিশেল ম্যাকাউল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের নির্দেশিকা অনুসারে মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশ থেকে আসা ভিসার আবেদন আপাতত ১২০ দিন অনুমোদন করা হবে না।  এই নির্দেশিকার ফলে ২০১৭ সালে মার্কিন মুলুকে উদ্বাস্তু আসার সংখ্যা অর্ধেক কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত কট্টরপন্থী মুসলিম নেতাদের ট্রাম্প মার্কিন মুলুকে চান না বলেই এই কঠোর পদক্ষেপ। একমাত্র তাঁরাই এদেশে আসা ও থাকার অনুমতি পাবেন, যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভালবাসেন, পেন্টাগন থেকে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।