বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের আমলে মার্কিন নীতি এখনও চূড়ান্ত রূপ পায়নি। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের বিষয়টি মার্কিন বিদেশ নীতিতে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে কিনা, তা এখন দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, ওবামা নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ লাভের দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করেছিলেন। মার্কিন শরিক ফ্রান্স ও ব্রিটেনও ভারতের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে। রাশিয়ার অবস্থান এক্ষেত্রে দ্বিমুখী। অন্যদিকে, এর তীব্র বিরোধী।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্প ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদে শপথগ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময়ও ট্রাম্প জোরের সঙ্গে বলেছিলেন, ভারতকে প্রকৃত বন্ধু ও বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে শরিক হিসেবে মনে করে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর যে সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ট্রাম্প কথা বলেছিলেন তাঁর মধ্যে পঞ্চম ছিলেন মোদী। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শরিক দেশ এবং রাশিয়ার মতো শক্তিধর দেশের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার আগেই মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যবস্থা নতুন করে গড়ে তোলার যে কথা ট্রাম্প বলেছেন, তার সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ লাভের বিষয়টি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। এশিয়ায় চিনকে টক্কর দিতে ট্রাম্প ভারতের দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে অনুমান।