নয়াদিল্লি : ১০ জানুয়ারির ঠিক ৬ দিন পর। আবার তীব্রভাবে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প (Indonesia Earthquake)। হালফিলে পরপর দুই বার। এবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬ দশমিক ২। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ প্রবল কম্পন অনুভূত হয়।
কম্পনের উৎস কোথায়
কম্পনের উৎসস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের সিনকিল শহর। প্রাণহানির খবর না মিললেও, কম্পনের মাত্রা বেশি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে ১০ জানুয়ারি, ইন্দোনেশিয়ায় প্রবল ভূমিকম্প হয়।
আরও পড়ুন :
১.৪ ডিগ্রিতে নামল দিল্লির পারদ, রাজধানীতে জারি হলুদ সতর্কতা, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এই রাজ্যগুলিতে
১০ তারিখের ভূমিকম্প
ঠিক ৬ দিন আগেও তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia Earthquake)। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৬। ইন্দোনেশিয়র তানিম্বর দ্বীপপুঞ্জের কাছে পূর্বে তিমোর-লিস্তে এলাকায় মঙ্গলবার ভূমিকম্প হয়। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূগর্ভের ১৩০ কিলোমিটার নিচে। তবে কম্পনের তীব্রতা ছিল অত্যন্ত বেশি। তার আবার পর পর চারটি আফটারশক (Aftershocks) অনুভূত হয়, যার রেশ উত্তর অস্ট্রেলিয়াতেও অনুভূত হয়।
ইন্দোনেশিয়ার- বিপর্যয় সংস্থা জানায় , ভূমিকম্পের পর উৎসস্থলের আশেপাশে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যায়। তবে তার জেরে সমুদ্রের জলস্তর উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছয়নি। তবে উপকূলের কাছে যে সমস্ত মানুষের বসবাস, তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে সুনামি সতর্কতা আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূমিকম্পপ্রবণ অগ্নিবলয়ের একেবারে শীর্ষে
ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভূমিকম্পপ্রবণ অগ্নিবলয়ের একেবারে শীর্ষে। বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ পাঁচটি জায়গার মধ্যে অন্যতম। ফলে বছর ভর সেখানে ভূমিকম্প লেগেই থাকে। এর আগে, নভেম্বর মাসেই ৫.৬ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। তাতে ৩০০-র বেশি মানুষ মারা জান। ক্ষয়ক্ষতি হয় বিপুল।
সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলির মধ্যে একটি হয়েছিল ২০০৪-এ ২৬ ডিসেম্বর । এ সময় ভারত মহাসাগরে যে সুনামি শুরু হয়েছিল তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং থাইল্যান্ড । প্রায় ২৩০০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল। সেই শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৯.১ মাত্রার। ৩০ মিটার (১০০ফুট) ঢেউ সৃষ্টি করেছিল এই কম্পন যা সুমাত্রার বান্দা আচেহ উপকূলে আঘাত করেছিল।
আরও পড়ুন :
১.৪ ডিগ্রিতে নামল দিল্লির পারদ, রাজধানীতে জারি হলুদ সতর্কতা, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এই রাজ্যগুলিতে