ইসলামাবাদ: পুলওয়ামা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে চাপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। পাকিস্তানকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিই নয়, ওই ঘটনার দায় স্বীকার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও ‘স্পষ্ট ও ধারাবাহিক’ ব্যবস্থা নিতে বলল তারা। পুলওয়ামা সন্ত্রাসে অন্তত ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর ভারত, পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ওই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে জয়েশ-ই-মহম্মদ, যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় আছে। পাকিস্তানের দিকেই এহেন সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগে আঙুল তুলেছে ভারত।
বৈদেশিক বিষয়সংক্রান্ত ও নিরাপত্তা পলিসি সংক্রান্ত ইইউয়ের শীর্ষ প্রতিনিধি তথা ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফেডেরিকা মঘেরিনি রবিবার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন, ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে বলে এখানে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এক ইইউ প্রতিনিধিদল।
পাকিস্তান, ভারত-দুপক্ষকেই পুলওয়ামা হামলার পর তৈরি হওয়া উত্তেজনার পারদ জরুরি ভিত্তিতে হ্রাস করতে বলেছেন মঘেরিনি। পাশাপাশি জোর দিয়েছেন, শুধু রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা এক দেশ থেকে আরেক দেশে তত্পর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধেই স্পষ্ট, লাগাতার ব্যবস্থা নেওয়া সহ সন্ত্রাসবাদ দমনের চেষ্টা করলে হবে না, এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করা লোকজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিবাদ, সংঘাত নিরসনে আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া ইইউয়ের বরাবরের নীতি বলেও জানিয়েছেন মঘেরিনি।
পুলওয়ামার ভয়াবহ মানববোমা বিস্ফোরণের পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক সক্রিয়তা বাড়িয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে তত্পর হয়েছে যে, পড়শী দেশের কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে ব্যবহার করছে। পাকিস্তানকে তার ভূখন্ডে সক্রিয় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে খতিয়ে দেখা সম্ভব, এমন ব্যবস্থা নিতেও বলেছে ভারত, পাশাপাশি পাকিস্তানকে সবচেয়ে পছন্দের দেশ তকমা প্রত্যাহার করে সে দেশে থেকে আসা পণ্যের আমদানি শুল্কও ২০০ গুণ বাড়িয়েছে।