ঢাকা: খালেদা জিয়ার ৫ বছরের জেল। দুর্নীতি মামলায় সাজা হল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) নেত্রীর। নিজের অনাথ আশ্রমের ট্রাস্টের জন্য বরাদ্দ ২৫২০০০ মার্কিন ডলার বিদেশি অনুদান নয়ছয়ের মামলায় বাংলাদেশের পঞ্চম বিশেষ আদালতে আজ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এই রায়ের ফলে ডিসেম্বরের পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। ধাক্কা খেল তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত্, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।

এই মামলায় ১০ বছরের কারাবাস হয়েছে ৭২ বছর বয়সি খালেদার ছেলে তারিক রহমান ও আরও চারজনের। বিচারক মহম্মদ আখতারুজ্জামান সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন খালেদাকে। নেত্রীর শরীর-স্বাস্থ্য ও সামাজিক মর্যাদার কথা মাথায় রেখেই কম মেয়াদের সাজা দেওয়া হল বলে জানান তিনি। এ খবর ডেইলি স্টারের।

মামলায় খালেদা, বাকিরা অভিযুক্ত হওয়ার চার বছর বাদে এল এই রায়।

এদিন মামলায় রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ব্যাপক অশান্তি হয় পুলিশ ও খালেদার সমর্থকদের মধ্যে। খালেদা আদালত রওনা দেন, রাস্তায় নেমে পড়ে তাঁর অনুগামীরা। পুলিশকে টার্গেট করে ইট-পাথর ছোঁড়ে তারা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।

দুর্নীতি বিরোধী কমিশনের দায়ের করা দুটি দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে খালেদাকে ২০১৪-র ১৯ মার্চ অভিযুক্ত করে  নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশ বৈধ বলে বহাল রাখে বাংলাদেশ হাইকোর্ট। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেন। তবে ২০১৪-র ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তাঁর দ্বিতীয় লিভ টু আপিল খারিজ করে নিম্ন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে বলে। ফলে তাঁর দুর্নীতি মামলা এড়ানোর শেষ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

কমিশনের অভিযোগ ছিল, খালেদার দুটি ট্রাস্টের  অস্তিত্ব ছিল কেবলমাত্র কাগজপত্রেই। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ এর মধ্যে বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ট্রাস্টের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয়, আত্মসাত্ করা হয়।