লস অ্যাঞ্জেলস: লাইক-কমেন্ট-শেয়ার-স্টেটাস! এই শব্দপুঞ্জগুলি শোনার পর মুহূর্তের মধ্যেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটিই নাম—ফেসবুক।
ফেসবুকের প্রতি আকৃষ্ট নেই এমন মানুষের দেখা বর্তমান যুগে খুব কমই মেলে। এখন প্রযুক্তির যুগে সকলেই এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে পরিচিত।
কিন্তু, নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, অধিকমাত্রায় ফেসবুক করলে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা রয়েছে। সান দিয়েগোর ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক হোলি শাক্যা এবং অন্যান্যরা দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৫২০০ জনের তথ্য ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেন।
গবেষক দল এই সকল মানুষের স্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি এবং তাঁদের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) পর্যবেক্ষণ করে। একইসঙ্গে, ওই মানুষরা নিজ নিজ ফেসবুক সক্রিয়তার খতিয়ানও গবেষক দলের কাছে তুলে ধরেন।
ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, যাঁরা ফেসবুকে বেশি সংখ্যায় ‘লাইক’ দিয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য ভাল নয়। আবার যাঁরা নিজেদের ফেসবুক ‘স্টেটাস’ বেশি আপডেট করেছেন, তাঁদের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। তুলনামূলকভাবে, যাঁরা ফেসবুকে লাইক ও স্টেটাস অপেক্ষাকৃত কম করেছেন, তাঁরা অনেক ভাল আছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা স্বাস্থ্যজনিত কারণে ভুগছেন, অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা ফেসবুকের শরণাপন্ন হন। আর তাতে আরও হিতে বিপরীত হচ্ছে। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, যাঁদের বিএমআই বেশি, তাঁরা বেশি ফেসবুক করেন।