হেলাসিঙ্কি : ব্রেকফাস্ট বিতর্ক! প্রাতঃরাশে নাকি বাড়তি বিল করছেন তিনি, এই অভিযোগ তদন্তের মুখে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। সেদেশের পুলিশ তাদের প্রদানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার খবর জানিয়েছে। ফিনল্যান্ডের এক ট্যাবলয়েড দাবি করে, করদাতাদের দেওয়া টাকা অনায্যভাবে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেখাচ্ছেন বাড়তি ব্রেকফাস্টের বিল, যার পরই শুরু হয়েছে তদন্ত।
ফিনল্যান্ডের ট্যাবলয়েড ইলতালেহেতি অভিযোগ করে, রাজধানী হেলাসিঙ্কির কেসারান্টাতে প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন তাঁর সরকারি বাংলোয় থাকাকালীন বাড়তি ব্রেকফাস্টের বিল দিচ্ছেন তিনি। প্রত্যেক মাসে নাকি সেই বিল হচ্ছে ৩০০ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার টাকা। যে অভিযোগের সামনে আসার পরই খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ফিনল্যান্ডের পুলিশ।
গোটা বিষয়ে জল এতদূর গড়িয়েছে যে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনকে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাড়তি কোনও সুবিধা তিনি নিচ্ছেন না। তাঁর পূর্বসূরিরা যে সুযোগ-সুবিধা পেতেন, তিনিও তাই পাচ্ছেন। আর প্রধানমন্ত্রী কী কী সুযোগ সুবিধা পাবেন, সেটা ঠিক করার দিকটাও তিনি দেখেন না বলেও জানান সানা মারিন।
ফিনল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাতঃরাশের জন্য যে বিল প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অর্থের পরিমাণ বরাদ্দ অর্থের থেকে বেশি। যে প্রসঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সংযোজন, তদন্ত চলাকালীন সময়ে তিনি তাঁর কোনও খাবার খরচের টাকা সরকারের ঘরে দাখিল করবেন না। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, বিলটি তাঁর ব্যক্তিগত নয়, প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে সমস্তচ কর্মচারী সহ সবার খাবার জন্যই এই বিল।
২০১৯ সালের শেষদিকে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই দক্ষতার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের সমস্ত বিষয় সামলাচ্ছে মারিন ও তাঁর মন্ত্রিসভা। ইউরোপে যে সমস্ত দেশে করোনার সংক্রমণের হার একেবারে কম, তাদের মধ্যে অন্যতম জায়গায় থেকে প্রশংসাও কুড়িয়েছে সানা মারিনের সরকার।