নয়াদিল্লি: গুয়াতেমালার রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির কাছে একটি শিশুদের হোমে আগুনে পুড়ে অন্তত ২১জন শিশু ও কিশোরী প্রাণ হারিয়েছে বলে খবর। বুধবার ভোরের এই ঘটনায় আহত হয়েছে বহু আশ্রিত।


গুয়াতেমালার ভিড়ে ঠাসা ওই হোমটির পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ ছিল প্রচুর। আবাসিকদের নিয়মিত অত্যাচারেরও শিকার হতে হত। দেশের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সি জানিয়েছে, ওই হোমে আশ্রিত কিশোররা পালানোর উদ্দেশ মঙ্গলবার মারামারি শুরু করে। তারপর স্থানীয় সময় বুধবার সকাল নটা নাগাদ কয়েকজন কিশোর নিজেদের শোয়ার বিছানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পুড়ে খাক হয়ে যায় অন্তত ২০জন শিশু ও কিশোরী।

দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৪১জন জন আহত মেয়েকে, তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭-র মধ্যে। এদের বেশিরভাগেরই অবস্থা গুরুতর। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে আগুনের ২১তম শিকারের মৃত্যুর খবর আসে।

জানা গিয়েছে, হোমটিতে অনেক তরুণ ছিল, বয়স ১৮ টপকানোর পরেও হোম ছাড়ার চেষ্টা করেনি তারা। মারামারির সময় বেশ কয়েকজন তরুণ মেয়েদের সেকশনে ঢুকে পড়ে। ভয় পেয়ে মেয়েরা ডরমিটরির ছাদে আশ্রয় নেয়। বুধবার সকাল থেকে দেখা যায় ধোঁয়া, নাকে আসে মাংস পোড়া গন্ধ।

গুয়াতেমালা সরকার জানিয়েছে, ওই হোমের ডিরেক্টরকে বরখাস্ত করেছে তারা। হোমটিতে ৫০০জনের থাকার অবস্থা ছিল কিন্তু রাখা হয়েছিল অন্তত ৮০০জনকে। সরকার এর আগে হোম প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, যে সব কিশোরের ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে, তাদের অন্য কোথাও সরিয়ে দেওয়া হোক কিন্তু তাতে কান দেয়নি তারা।