বরিশাল: বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লঞ্চটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, সেটা এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতাল এবং বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে ‘এমভি অভিযান’ নামে লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হয়। আজ ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। কীভাবে আগুন লাগল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন দেখে আতঙ্কে বেশ কয়েকজন যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন। তবে ভোরবেলা বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। তার ফলেই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 







বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সকালে ১৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকার্য। নিখোঁজ অনেকে।


পরে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। আহত ২০০ জনেরও বেশি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো দুর্বল হওয়ায় চিকিৎসা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।


দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর জন্য পাঁচটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হয়। ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, লঞ্চটির ইঞ্জিনে আগুন লাগে। তবে এ বিষয়ে তদন্তের পরেই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,  ইঞ্জিন রুম থেকে বিকট শব্দ পেয়ে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই লঞ্চের দোতলা ও তিনতলায় কেবিনের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ডেকে থাকা যাত্রীরা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে প্রাণ বাঁচাতে পারলেও, কেবিনের যাত্রীরা বেরোতে পারেননি।