লন্ডন: সারা বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ ছড়িয়ে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এরইমধ্যে একটি বড়সড় বিশ্লেষণে জানানো হয়েছে যে, আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় নতুন এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কম। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, তাদের এই সমীক্ষা এই প্রাথমিক ফল উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু এরপরও এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের একটা বড় অংশকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।
এই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে, বুস্টার ডোজ নেওয়ার ১০ সপ্তাহ পর থেকে ওমিক্রন সংক্রমণ আটকানোর ক্ষেত্রে টিকার ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড থেকে এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের ক্ষেত্রে অসুস্থতার তীব্রতা অনেকটা কম বলে তথ্য উঠে এসেছে। এরই প্রেক্ষাপটে সামনে এসেছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থার এই বিশ্লেষণ। গত নভেম্বরের শুরু থেকে ব্রিটেনে সমস্ত ওমিক্রন ও ডেল্টা সংক্রমণের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ। এরমধ্যে রয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তি ১৩২ আক্রান্ত। ওমিক্রন সংক্রমণের ২৮ দিনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যুরও খবর এসেছে। রিপোর্ট দেখা গেছে-
-ওমিক্রন আক্রান্তদের ৩১ থেকে ৪৫ শতাংশর এ অ্যান্ড ই-তে যাওয়ার ঝুঁকি কম।
- ৫০ থেকে ৭০ শতাংশের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কম।
যদিও সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মৃদু এই ভাইরাস সংক্রমণ ফের হাসপাতালে চাপ তৈরি করতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই ভাইরাস সংক্রমণের স্বল্প তীব্রতা সংক্রান্ত বিষয়টির সুবিধা হারিয়ে যেতে পারে অত্যধিক সংখ্যায় সংক্রমণের কারণে। এরইমধ্যে ব্রিটেনে দেখা গিয়েছে, রেকর্ড সংখ্যর দৈনিক সংক্রমণ। সেই সংখ্যা ১১৯,৭৮৯।
বয়স্কদের ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে যাদের তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০-এর কম।
ইউকেএইচএসএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ ড. জেনি হ্যারিস বলেছেন, আমাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উৎসাহব্যঞ্জক ইঙ্গিত মিলেছে, ওমিক্রন আক্রান্তদের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কম। কিন্তু ব্রিটেনে সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।