চার তলা অ্যাপার্টমেন্টের বারান্দায় ঝুলছিল শিশুটি। নিচে একটি ব্যাঙ্কের প্রহরায় নিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মী শিশুটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাননি। শিশুটিকে ওই অবস্থায় দেখে হাত গুটিয়ে থাকতে পারেননি তাঁরা। যে কোনও মুহূর্তে শিশুটি পড়ে যেতে পারে। হাতের কাছে যা কিছু পেয়েছেন, তা দিয়েই শিশুটি যাতে মাটিতে না পড়তে পারে তার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। চরম বিপদের মুহূর্তে তাঁদের সেই প্রচেষ্টার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। শিশুটির দিকে চোখ রাখার পাশাপাশি তাঁরা খুঁজছিলেন, এমন কিছু যা নিচে পেতে দেওয়া যায়। পাশেই একটি রেলিংয়ে একটি কার্পেট দেখে সেটিকে এক পুলিশ অফিসার সেটিকে সেফটি নেট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করেন। অন্য অফিসার কার্পেটের অন্যপ্রান্ত ধরতে ছুটে আসেন। পরমুহুর্তেই দেখা যায়, তৃতীয় অফিসার শিশুটিকে পড়তে দেখে তাঁর দুহাত বাড়িয়ে দেন।
শিশুটি তাঁর হাতে পড়ে। তীব্র গতিতে নিচে পড়ায় শিশুটিকে নিয়েই ওই পুলিশ অফিসার মাটিতে পড়ে যান। কিন্তু মাটিতে রাখা কার্পেটে পড়ায় শিশুটি বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায়। তার সামান্য আঘাত লেগেছে মাত্র। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই তিন পুলিশ অফিসারের নাম কামিল ফাথি জাইদ, হাসান সৈয়দ আলি এবং সাবরি মাহরোস আসি। দক্ষিণ কায়রোর অসিউট গভর্নেটে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছে।