প্যারিস: শার্লি হেবদোকে মনে আছে নিশ্চয়ই। ইসলাম নিয়ে হাসিঠাট্টার জন্য যাদের অফিসে জঙ্গি হামলা হয়। সেই ব্যাঙ্গধর্মী পত্রিকা চার্লি হেবদো এবার পড়েছে ফ্রান্সের ভবিষ্যৎ ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত মাকরঁকে নিয়ে। তাদের এবারের প্রচ্ছদে ব্রিজিতের বয়স নিয়ে আপত্তিকর খোঁচা রয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

৩৯ বছরের আগামী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরেঁর ৬৪ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে যে বিদ্রূপাত্মক প্রচ্ছদ ছেপেছে শার্লি হেবদো, তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্রিজিত অন্তঃসত্ত্বা, তাঁর পেটের ওপর হাত রেখেছেন এমানুয়েল। পাশে ক্যাপশন, হি ইজ গোইং টু ওয়ার্ক মিরাকলস!

সোশ্যাল মিডিয়া এক বাক্যে বলছে, দুজনের বয়সের তফাত নিয়ে নগ্নভাবে ইয়ার্কি করেছে পত্রিকাটি। এভাবে হাসিঠাট্টার মধ্যে শুধু অন্যের বয়স নিয়ে অকারণে মাথা ঘামানো নেই, তা প্রবল যৌনগন্ধীও।

ব্রিজিত মাকরঁও টুইট করেছেন এ ব্যাপারে। লিখেছেন, টেকনিক্যালি যা সম্ভব, তা সব সময় আকাঙ্খিত নাও হতে পারে। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ #জেসুইসশার্লি, সেই স্লোগান, যা ২০১৫-য় শার্লি হেবদো অফিসে আল কায়দা হামলায় ১২জনের মৃত্যুর পর বিশ্বময় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।



দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী ল্য পেনকে হারিয়ে এমানুয়েল প্রেসিডেন্ট ভোটে জিতলেও তাঁর স্ত্রীর ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলা চলছে একইভাবে। কেউ কেউ আবার ব্রিজিতকে পিডোফাইল বলেও দেগে দিয়েছেন। অনেকে আবার পাশে দাঁড়িয়েছেন আগামী ফার্স্ট লেডির। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিজিতের প্রথম বিবাহে জাত কন্যা, ৩২ বছরের টিফানিও। নিছক হিংসার কারণেই তাঁর মাকে এমন সাইবার হামলার মুখে পড়তে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।