নয়া দিল্লি : আস্থা ভোটে গদিচ্যুত হওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন ইমরান খান (Imran Khan)। ফাটালেন 'বোমা'। তাঁর সরকারের এই পরিণতির জন্য 'বিদেশি ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ তুললেন। বললেন, "আজ থেকে শুরু হল স্বাধীনতা সংগ্রাম।" এদিকে আগামীকাল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দল তেহরিক ই ইনসাফ।
ট্যুইটারে ইমরান লিখলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল পাকিস্তান (Pakistan)। কিন্তু, আজ আবার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হল। পাকিস্তানে শাসন পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই স্বাধীনতা সংগ্রাম। সবসময় দেশের মানুষ তাদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেন।
আরও পড়ুন ; লাহোরের বিত্তশালী পরিবারে জন্ম, রাজনীতিতে প্রবেশের পর সৌদি আরবে নির্বাসন; কে এই শাহবাজ শরিফ ?
প্রসঙ্গত, মধ্যরাতে পাকিস্তানে ইমরান খান-সরকারের পতন হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবে হয় ভোটাভুটি। হারেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ৩৪২জন সাংসদের মধ্যে বিরোধীদের পক্ষে পড়ে ১৭৪টি ভোট। পাকিস্তানে টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই ইস্তফা দেন পাক অ্যাটর্নি জেনারেল। ভোটাভুটির ফল প্রকাশের আগেই কপ্টারে ইসলামবাদ ছাড়েন ইমরান।
ভোটাভুটির আগেই ইস্তফা দেন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার। পাক সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন ইমরানের পার্টির সাংসদরা। অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করেন শুধুমাত্র পাক বিরোধী দলের সাংসদরা। এদিকে শাহবাজ শরিফকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন বিরোধীরা। ৭০ বছরের শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ নিজেও পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ১৯৯৭, ২০০৮ ও ২০১৩-য়। তিনিই পাকিস্তানের পঞ্জাবের দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী। বিত্তবান পরিবারের শাহবাজের প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য পরিচিত। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বেজিং পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে আজ পিটিআইয়ের সেন্ট্রাল কোর একেসিকিউটিভ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বানি গালায় ইমরান খানের সভাপতিত্বে সেই মিটিং চলে। সেখানে দলের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়।