নয়া দিল্লি : ইমরান খান-সরকারের (Imran Khan Government) পতনের পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটি রয়েছে সোমবার। পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী দলনেতা তথা পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N)-এর প্রেসিডেন্ট শাবহাজ শরিফ হতে চলেছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, কে এই শাহবাজ শরিফ ?
৭০ বছরের শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (Nawaz Sharif) ছোট ভাই। শাহবাজ নিজেও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ১৯৯৭, ২০০৮ ও ২০১৩-য়। তিনিই পাকিস্তানের পঞ্জাবের (Punjab) দীর্ঘমেয়াদি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন ; "পাকিস্তানে গণতন্ত্র নেই, সেনাবাহিনী দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে ইসলামাবাদ"; বলছেন প্রাক্তন সেনা কর্তা
বিত্তবান পরিবারের শাহবাজের প্রশাসন পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতার জন্য পরিচিতি রয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বেজিং পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে চিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করেছেন।
লাহোরের শিল্পপতি পরিবারে জন্ম। স্থানীয় স্তরেই তাঁর পঠন-পাঠন । এরপর পারিবারিক ব্যবসায় প্রবেশ করেন তিনি। পাকিস্তানের একটি স্টিল কোম্পানির যৌথ মালিক।
পাঞ্জাব থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৯৭ সালে প্রথমবার সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হন। যদিও তার আগে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট চলাকালীন সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে একবার জেলবন্দী হন । ২০০০ সালে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। ২০০৭ সালে ফিরে আসেন তিনি। পাঞ্জাবে ফের তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়।
এরপর পাকিস্তানের জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০১৭ সালে পানামা পেপার মামলায় নওয়াজ শরিফ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N)-এর প্রধান হন শাহবাজ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিট ব্যুরো শাহবাজ ও তাঁর পুত্র হামজা শরিফের ২৩টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।
২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাহবাজ গ্রেফতার হন। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল আর্থিক তছরূপ মামলায় তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয় লাহোর হাইকোর্ট।