করাচি: চন্দ্রযান-২ অভিযানকে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরি। প্রশ্ন তুলেছেন তার যৌক্তিকতা নিয়ে। কিন্তু কার্যত তাঁকে চুপ করিয়ে দিলেন নামিরা সালিম। পাকিস্তানের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী নামিরা। সংবাদ সংস্থার খবর, ইসরোকে চন্দ্রযান-২ মিশনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিংয়ের ঐতিহাসিক উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। বিক্রমের সঙ্গে একেবারে শেষ মুহূর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অরবিটারের। শনিবার ভোরে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের মাত্র ২.১ কিমি দূরে হারিয়ে যায় বিক্রম। যদিও গতকাল ইসরোর তরফে জানানো হয়, তারা বিক্রমের হদিশ পেয়েছে। চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারে তার ছবি ধরা পড়েছে। তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই ইসরোর পাশে পাক বিজ্ঞানী।

করাচির ডিজিটাল সায়েন্স ম্যাগাজিন ‘সায়েন্টিয়া’-তে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমকে সাফল্যের সঙ্গে সফট ল্যান্ডিং করানোর ঐতিহাসিক প্রয়াসের জন্য ভারত ও ইসরোকে আমার অভিনন্দন। চন্দ্রযান-২ এর চন্দ্রাভিযান অবশ্যই গোটা দক্ষিণ এশিয়ার কাছে একটা বিরাট ধাপ বা উল্লম্ফন যা শুধু গোটা উপমহাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞান মহলকেই গর্বিত করেছে। তিনি আরও বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে আঞ্চলিক অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো এবং কোন দেশের নেতৃত্বে তা হল, সেটা কোনও বিষয়ই নয়। কেননা মহাকাশে গিয়ে যাবতীয় রাজনৈতিক বিভাজন, বিভেদের রেখা মুছে যায়। মহাকাশ আমাদের মিলিয়ে দেয়, আর পৃথিবীর মাটিতে যত বিভেদ, ব্যবধানের প্রাচীর।
ভার্জিন গ্যালাকটিকে চড়ে প্রথম পাকিস্তানি হিসাবে মহাকাশ সফরের কৃতিত্ব নামিরার।