মেয়েটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, এই বাচ্চার বাঁচার আশা খুবই কম। মেয়েটি একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। রোগটির নাম ট্রিচার কলিনস সিনড্রোম। এই রোগে আক্রান্ত হলে, একজনের মুখে ৪০টি হাড় তৈরি হয় না। এরফলে চোখ, ঠোঁট এবং নাক তৈরি হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, শিশুটির জন্মের পর চিকিত্সকরা তাকে খাওয়াতেও অস্বীকার করেন। তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন বাড়িতে গিয়ে শিশুটির শেষমুহূর্তের জন্যে মনকে প্রস্তুত করতে।
তবে ঈশ্বরের কৃপায় সম্প্রতিই সেই মেয়ের ন বছরের জন্মদিন পালন করলেন তার বাবা-মা। কীভাবে মেয়েটি এতদিন বাঁচল, এখন ডাক্তারদের কাছে সেটাও দ্বন্দ্বের। আজ বাচ্চাটির বেঁচে থাকার জন্যে চিকিত্সকরা সমস্ত ক্রেডিট মেয়েটির বাবা-মাকেই দিয়েছেন। কারণ, তাঁদের যত্নই মেয়েটিকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে।
তবে মেয়েকে বাঁচাতে, সুস্থ জীবন দিতে বদ্ধপরিকর ভিটোরিয়ার বাবা-মা। এরজন্যে তাঁরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টাকা সংগ্রহও করছেন। জানা গিয়েছে, ৫০, ০০০ মানুষের মধ্যে মাত্র একজনই এই বিরল রোগে আক্রান্ত হয়।এরমধ্যে মেয়েটির ওপর আটটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তার চোখ, নাক ও মুখ আবার নতুন করে তৈরি করতে। এখনও কেউ জানেন না ভিটোরিয়া ঠিক কতদিন বাঁচবে, তবে মেয়ের পাশে সবসময় থেকে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার বাবা-মা। এমনকি সমাজের বিভিন্ন মানুষ মেয়ে সম্পর্কে নানা খারাপ মন্তব্য করলেও তাঁরা পিছিয়ে আসেননি। সত্যিই তাঁদের এই লড়াইকে প্রত্যেকের কুর্ণিশ জানানোই উচিত্।