তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই ওয়াড্ডার বিরুদ্ধে নিজের পাড়ার জনৈক আসফাকের কিশোরী বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হলে তারা আসফাককে দিয়ে ওয়াড্ডার বোনকে ধর্ষণের নির্দেশ দেয়।
ওয়াড্ডার পরিবার এর প্রতিবাদ করলে পঞ্চায়েত জানিয়ে দেয়, ধর্ষণে অভিযুক্তের বোনকে ধর্ষণই একমাত্র সমাধান, তাহলেই সুবিচার মিলবে।
পুলিশ অফিসারটি বলেন, নির্যাতিতার পরিবার গত সোমবার পর্যন্তও অভিযোগ জানায়নি। আমরা আসফাক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০-এর বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে আলাদা এফআইআর দায়ের করেছি। পুলিশ ঘটনাটির সব দিকই খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি। ওয়াড্ডার বোনকে তার বাবা-মা ও ভাইয়ের সামনেই নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ইউনিস জানান, মুজফরারাবাদ পুলিশের স্টেশন হাউস অফিসার এই মামলার অভিযোগকারী হয়েছেন, ফলে দুপক্ষ এক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আপস মীমাংসা করে পরস্পরের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রত্যাহার করে নিতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে এই জেলাতেই পঞ্চায়েতের নির্দেশে ধর্ষণ করা হয়েছিল মুখতারান মাইকে, যা নিয়ে ঝড় উঠেছিল আন্তর্জাতিক মহলেও।
পাকিস্তানের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, পাক সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি আসমা জেহাঙ্গির এ ধরনের বহু ঘটনা জানাজানিই হয় না বলে খেদ প্রকাশ করেন। বলেন, নির্যাতিতারা তাদের ওপর অত্যাচারের কথা পুলিশকে জানায়ই না, এটা দুর্ভাগ্যজনক। গ্রামীণ এলাকায় এ ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানোটা জরুরি।