ওয়াশিংটন:  আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সেদেশের বিভিন্ন অগ্রগন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিষয়ের প্রথমসারির তিন অধ্যাপক। এ ব্যাপারে তাঁরা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠিও লিখেছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য,  ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্বভার গ্রহণের যোগ্যতা  নিয়ে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা এর আগেও প্রশ্ন তুলেছেন।
এবার যে অধ্যাপকরা ওবামাকে চিঠি লিখেছেন তাঁদের মধ্যে দুজন হাভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের এক অধ্যাপক। বাকি দুইজন আমেরিকার প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। চিঠিতে আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণের আগে ট্রাম্পের ‘মেডিক্যাল ও স্নায়োবিক মনোরোগের’ বিস্তারিত পরীক্ষার  জন্য ওবামার কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই তিন অধ্যাপক।
একটি সংবাদপত্রে তাঁদের এই চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। হাভার্ডের মনোরোগ বিভাগের জুডিথ হার্মান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মনোরোগ বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নানেট গার্ট্রেল এবং হাভার্ডেরই অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্লিনিক্যাল প্রোফেসর ডি মোসবাচেরের মতো বিশেষজ্ঞদের লেখা এই চিঠি স্বাভাবিকভাবেই তাত্পর্য্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা লিখেছেন, একজন সুপরিচিত ব্যক্তির মানসিক অবস্থা সম্পর্কে পরীক্ষানিরীক্ষা করা পেশাগত কারণে সম্ভব নয়। তবুও তাঁর ‘উন্নাসিকতা, আবেগপ্রবণতা, সমালোচনা সহ্য না করতে পারার ক্ষমতা এবং বাস্তব ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারার অক্ষমতা’ সম্পর্কে যে সব খবর প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে ট্রাম্পের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন মনে উঁকি দিয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব পালনে সক্ষম কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এজন্য দায়িত্বগ্রহণের আগে ট্রাম্পের মানসিক অবস্থার সম্পূর্ণ পরীক্ষা করার সুপারিশ করেছেন অধ্যাপকরা।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার আগে ওবামাও ৭০ বছরের ধনকুবেরের বিচারক্ষমতা ও মেজাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদের ‘অযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন।
গত জুনে আটলান্টিক-এ এক ট্রাম্প সম্পর্কে এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞর প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল।
অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় নাত্‍সি শাসক অ্যাডলফ হিটলারের চেয়ে ট্রাম্পের বেশি মনোরোগের লক্ষ্মণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।