পোর্ট অঁ প্রিন্স: শনিবারের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে মৃত্যু মিছিল হাইতির পোর্ট ও প্রিন্স এলাকাতে। ক্রমশ বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। রিখটার স্কেলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। সেই সব ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবিতদের খুঁজে পেতে মরিয়া চেষ্টা উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে। প্রবল এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে দেশে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 


ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটার শকে কেঁপে উঠেছে হাইতির একাধিক এলাকা। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।  ২০১০-র শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষতি এখনও সামলে উঠতে পারেনি হাইতি। তারই মধ্যে ফের জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল এই দেশ।  দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম তিবুরন উপদ্বীপের সেন্ট-লুই দ্যু সুদ শহরে উত্তর-পূর্বে ভয়ঙ্কর ভূ-কম্প অনুভূত হয়। 


জনবহুল এই এলাকাতে কম্পনের ফলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা সুরক্ষার জন্য ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। ঘন জনবসতিপূর্ণ হাইতির রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্স থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। দীর্ঘ ও প্রাথমিক কম্পন বেশিরভাগ ক্যারিবিয়ানরাই বুঝতে পেরেছিলেন। হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপে প্রচুর ঘরবাড়ি, স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কম্পনের পর সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।


ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়ে দেন ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গীর্জা, হোটেল, হাসপাতাল এবং বাড়িঘর গুড়িয়ে গিয়েছে। এজেন্সি জানিয়েছে, এখনও বহু মানুষ জখম ও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তুপ এখনও সরানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় সেখানে বহু মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।


এদিকে, আহতদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতালগুলি। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে জীবিত অবস্থায় মানুষকে উদ্ধার করাই মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছে প্রশাসনের। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল পোর্ট অঁ প্রিন্স শহর। সে সময় দু'লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।