নয়াদিল্লি ও কাঠমান্ডু: এখনও নেপালে আটকে রয়েছেন প্রায় হাজার তীর্থযাত্রী। এই পরিস্থিতিতে কৈলাশ মানস সরোবর তীর্থযাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিদেশমন্ত্রকের আগাম সতর্কবার্তা, আবহাওয়া প্রতিকূল হলে যে কোনও সময় থমকে যেতে পারে যাত্রা। আটকে পড়তে হতে পারে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে।


নেপালগঞ্জ-সিমিকোট-হিলসা রুটের আবহাওয়া আচমকা প্রতিকূল হওয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নেপালে আটকে রয়েছেন কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রায় অংশ নেওয়া এক হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্র। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে নেপাল প্রশাসনের।


এই পরিস্থিতিতে ওই রুট দিয়ে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামীদিনে যে সকল তীর্থযাত্রী এই রুট দিয়ে যাবেন, তাঁরা যেন খেয়াল রাখেন, বহির্বিশ্বের সঙ্গে নেপালের সিমিকোট ও হিলসার যোগাযোগ একমাত্র ছোট বিমান বা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে। আর সেগুলি তখনই চলে যখন আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে।


নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কারণ, এই রুটের রাস্তা অত্যন্ত দুর্গম ও বিপজ্জনক। ফলে, আবহাওয়া প্রতিকূল হলে, তীর্থযাত্রীদের সেখানে আটকে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেখানে এ-ও বলে দেওয়া হয়েছে, সিমিকোট ও হিলসার পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। মেডিক্যাল সহায়তা সবসময় মিলবে না। ফলত, তীর্থযাত্রীরা যেন যাত্রা শুরুর আগে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা ভাল করে করিয়ে নেন। একইসঙ্গে, একমাসের ওষুধ সঙ্গে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।


এদিকে, নেপালের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও সিমিকোট ও হিলসায় প্রায় হাজার খানেক ভারতীয় তীর্থযাত্রী আটকে রয়েছেন। গতকাল হিলসা থেকে ২৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন সকালে ১০টি ফ্লাইটে ১৪৩ জনকে সিমিকোট থেকে নেপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। ভারতীয় দূতাবাস টুইট করে জানিয়েছে, সিমিকোটে এখন ৬৪৩ জন এবং হিলসায় ৩৫০ জন আটকে রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব, তাঁদের উদ্ধার করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কেন্দ্র।