ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গাঁধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার ঘটনা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে গাঁধী শান্তি সম্মান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ পালিত হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর। প্রত্যেক ভারতবাসীর তরফ থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেককে অভিনন্দন।
মোদি মনে করিয়ে দেন, ‘পাকিস্তানের সেনারা যে জঘন্য অত্যাচার করেছে তা সবাই জানে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছিল, বাংলাদেশকে কোনও শক্তি আটকে রাখতে পারবে না।
একইসঙ্গে, তিনি ভারতের ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর কথাও স্মরণ করেন। বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর প্রচেষ্টা সর্বজন বিদিত। মোদি জানান, তখন অটল বিহারী বাজপেয়ী বাজপেয়ী বলেছিলেন, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে চলেছি।’
মোদি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা দেখিয়েছি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। ছিটমহল হস্তান্তর তারই প্রমাণ।
মোদি বলেন, ‘করোনাকালেও দুদেশের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল ছিল। ভারতীয় ভ্যাকসিন বাংলাদেশের ভাইবোনেদের দিতে পেরে আমি আনন্দিত। তাঁর মতে, ‘দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করার জন্য যুব সমাজের আদানপ্রদান জরুরি। বাংলাদেশের ৫০জন উদ্যোগপতিকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।
করোনাকালে প্রায় ১৫ মাস পর, বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। দু’ দিনের সফরে আজ বাংলাদেশ রওনা দেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছন মোদি।
তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের জাতীয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি।
ঢাকায় পৌঁছেই জাতীয় স্মৃতি সৌধ দর্শন করেন মোদি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁর সাহসিকতা ও বলিদানকে শ্রদ্ধা জানাতেই নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশের এই জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ।
এরপর বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। সেখান থেকে বিকেল চারটে নাগাদ জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এরপর তিনি বাপু বঙ্গবন্ধু ডিজিটাস ভিডিও প্রদর্শনীর সূচনাও করেন তিনি।