হিউস্টন: বাড়ি নিয়ে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই সদ্যোজাত কন্যার মাথার খুলি ফাটল এবং শরীরে ৯০টির বেশি ফ্র্যাকচার! অচিরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে একরত্তি শিশুটি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বাবা-মার বিরুদ্ধে হত্যা সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ। ঘটনাস্থল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন।
খবরে প্রকাশ, অপরিণত শিশু হিসেবে জন্ম নিয়েছিল জ্যাসমিন রবিন। মাত্র ১২ দিন আগেই সে ছাড়া পেয়েছিল হাসপাতাল থেকে। কিন্তু, তার এই জীবন স্থায়ী হল মাত্র ১০ সপ্তাহ। গত বছরের ১৫ জুলাই এই বীভৎস অত্যাচারের শিকার হয়ে ছোট্ট জ্যাসমিন মারা যায়। শিশুর বাবা ২৪ বছরের জেসন পল রবিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। মা ২১ বছরের ক্যাথেরিন উইনধাম হোয়াইটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হ্যারিস কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কিম ওগ জানান, যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল রক্ষা করার, তাদের হাতেই মৃত্যু হল। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও তথ্যগুলিকে ভাল করে যাচাই করার পরই মৃত শিশুর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে।
মৃত্যুর পর হাসপাতালে শিশুর শরীরের ময়নাতদন্ত করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, কোনও ভারী জিনিসের আঘাত রয়েছে মাথায়। তদন্তকারীদের অনুমান, শিশুটি কাঁদছিল। এতে রবিন রেগে গিয়ে সম্ভবত জোরে ঝাঁকিয়ে দেয়। পাঁজরে একাধিক চিড় হয়ে যায়। পাঁজরে মোট ৭১টা চিড় ধরা পড়ে। এছাড়া, বড় হাড়ে ছিল আরও ২৩টি চিড়। অর্থাৎ, ১০ সপ্তাহের শিশুর শরীরে মোট ৯৬টি চিড়!
শিশুর শরীর এতটাই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, যে অটোপ্সি করতে কয়েকমাস সময় লেগে গিয়েছিল। অভিযুক্ত বাবা জানিয়েছে, সে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মনস্তত্ব সংক্রান্ত বই পড়ত। মৃতার মা আবার তার শিশুর মাথার আঘাতের জন্য হাসপাতালের কর্মীকে দোষারোপ করেছে।