লন্ডন : আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের সামরিক ভিত্তি মজবুত করার ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহের কথা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন। শুধু ট্রাম্পই নন, ইউরোপ থেকে শুরু করে চিন-আগামী দশকে বিশ্বজুড়েই সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়তে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব ও অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণেই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়বে বলে আইএইচএস জেনস সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেট রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে  প্রতিরক্ষা বাজেট ২০১৫-র ১.৫৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে চলতি বছর হবে ১.৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। মূলত দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এশিয় দেশগুলির তত্পরতার কারণেই সামরিক খাতে ব্যয় বাড়বে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের এই প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক সংস্থার প্রিন্সিপাল অ্যানালিস্ট ক্রেগ কাফ্রি। আইএইচএস জেনস-এর অন্য এক বিশ্লেষক ফেনেলা ম্যাকগ্রেটির মতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের হার ২০১৮-র মধ্যে ২০০৮-০৯-র আর্থিক মন্দার পূর্ববর্তী সময়ের পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে।

এশিয়া

রিপোর্ট অনুসারে, চিনের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০১০-এর ১২৩ বিলিয়ন থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ২০২০-তে ২৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। এই বাজেট ব্রিটেনের চারগুণ এবং সামগ্রিকভাবে পশ্চিম ইউরোপের মোট ব্যয়ের থেকে বেশি।ভারত প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও রাশিয়াকে টপকে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে ভারতের স্থান চতুর্থ।পাউন্ডের দাম কমতে থাকলে ভারতের এই ব্যয় ২০১৮-তে ব্রিটেনকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।

ইউরোপ

ইউরোপিয় ইউনিয়নের সংযুক্ত বাজেট ২০১৬-তে ২১৯ বিলিয়ন ডলার। আইএইচএস জেনস-এর রিপোর্ট অনুসারে, এই ব্যয়ের হার ভবিষ্যতেও বাড়বে। শুধুমাত্র গ্রিস সংকট বা ব্রেক্সিটের ধাক্কা যদি সামলানো না যায়, তাহলেই এক্ষেত্রে লাগাম টানা হতে পারে।

১৯৯০ থেকে এই প্রথম রাশিয়া তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট কমিয়েছে। তেলের মূল্য হ্রাস সত্ত্বেও আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক খাতে ব্যয় খুব একটা কমবে না বলে জানিয়েছেন ক্যাফ্রি।

আমেরিকা

২০১৬-তে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বাজেট ৬২২ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাজেট আমেরিকারই। বিশ্বের মোট বাজেটের মধ্যে তা ৪০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় আমেরিকার সামরিক খাতে ব্যয় বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র অ্যালানিস্ট গাই ইস্টম্যান।