নয়াদিল্লি: কুলভূষণ যাদবকে নিয়ে আগামীকাল রায় দেবে হেগের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। ভারত ও পাকিস্তান, দু পক্ষেরই বক্তব্য শোনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ রায় ঘোষণা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।


ভারত আদালতে পাকিস্তানে চরবৃত্তি, নাশকতায় যুক্ত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত যাদবের মৃত্যুদণ্ড অবিলম্বে বাতিল করার দাবি তোলে, এমন আশঙ্কাও জানায় যে, আদালতে শুনানি পর্ব শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসারকে। ৪৬ বছরের যাদবকে জোর করে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে সেখানে অভিযোগ করেন ভারতের প্রতিনিধিরা। 'বিন্দুমাত্র প্রমাণ' ছাড়াই যাদবের 'বিচারের নামে প্রহসন' হয়েছে, পাকিস্তান ১৬ বার যাদবের সঙ্গে ভারতীয় কনস্যুলেটকে দেখা করতে দেওয়ার আবেদন নাকচ করেছে, এটা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী বলেও দাবি করেন তাঁরা।

ভারতের প্রতিনিধি আইনজীবী হরিশ সালভের অভিযোগ, যাদবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি পাকিস্তানে, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী, এতে যাদবের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

যাদবকে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে গ্রেফতার করা হয় গত বছরের ৩ মার্চ, সে দেশের সামরিক আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ১০ এপ্রিল। তবে ভারতের দাবি, যাদব নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর ইরানে ব্যাবসা করছিলেন। সেখান থেকে পাকিস্তান তাঁকে অপহরণ করেছে। সাজা বাতিল করিয়ে যাদবের জীবন বাঁচাতে ৮ মে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে যায় ভারত।

পাল্টা পাকিস্তান সওয়াল করে, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কনস্যুলেটের সাহায্য নেওয়ার সুবিধা সন্ত্রাসে জড়িত কোনও 'চর' পেতে পারে না। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতকে ভারত 'রাজনৈতিক নাটকবাজি'র মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করেছে বলেও কটাক্ষ করে ইসলামাবাদ।

শেষ দু দেশের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে লড়াই হয়েছিল ১৮ বছর আগে। পাকিস্তানের নৌবাহিনীর বিমান গুলি করে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে গিয়েছিল পাকিস্তান।