ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে চর তকমাপ্রাপ্ত সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড হওয়া কুলভূষণ যাদবকে রেহাই বা মুক্তি, কোনওটাই দেবে না আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে)। যাদব মামলার পরিণতি খুবই স্পষ্ট। সে কখনই ছাড়া পাবে না বা অব্যাহতি পাবে না।
পাক অ্যাটর্নি জেনারেল আসতার আওসাফ আলির সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা খাওয়ার কুরেশি।


৪৬ বছর বয়সি প্রাক্তন ভারতীয় নৌ অফিসারকে চরবৃত্তি ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে চরম সাজা দেওয়া হলেও ভারতের হস্তক্ষেপে তা কার্যকর করার ওপর আইসিজে 'সাময়িক' স্থগিতাদেশ জারি করে ১৮মে। কুরেশি বলেন, এতে তার জয় হয়েছে বলে অন্যায় দাবি করছে ভারত। তাঁর মন্তব্য, ব্যাপারটা যতটা না আইনের, তার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক মুনাফা তোলার, সমস্যা মনে হয় এটাই।

আইসিজে-তে কুলভূষণের ফাঁসি আটকে যাওয়ায় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের সমালোচনা করে বলা হতে থাকে, তারা বিষয়টা ঠিকঠাক সামলাতে পারেনি।কুরেশিকে কেন বাছাই করা হয়েছে, এমন প্রশ্নও ওঠে। তিনি সেভাবে আগাম প্রস্তুতি নেননি বলেও অভিযোগ তোলে পাক বিরোধী রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষাপটে কুরেশি এদিন সাংবাদিকদের ''দায়িত্বশীল আচরণের'' পরামর্শ দেন, পাক কর্তাদের 'প্রাপ্য সম্মান'' দিতেও আবেদন করেন।

পাক মিডিয়ার রিপোর্টে প্রকাশ, দি হেগের আদালতে মুখ পোড়ার পর যাদব মামলায় খোদ পাক অ্যাটর্নি জেনারেলই লড়বেন।

এদিন তিনি বলেন, পাকিস্তান যাদব মামলায় আইসিজে-তে যাবতীয় নথি, তথ্যপ্রমাণ পেশ করবে। আইসিজে পাকিস্তানের বক্তব্য পুরোপুরি খারিজ করেনি, তাদের অন্তর্বর্তী রায়ে কোনও দেশেরই জয় বা পরাজয়, কোনওটাই হয়নি।

তিনি এও জানান, পাকিস্তান দায়িত্বশীল দেশ, আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করবে না, তবে জাতীয় সংহতির প্রশ্নে কখনও আপসও করবে না।