লাহৌর: শরীর খারাপ থাকায় স্কুলের ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে চায়নি। এই অপরাধে স্কুলের ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হল ১৪ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। গুরুতর জখম অবস্থায় লাহৌরের একটি হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রী। তার শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাত লেগেছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে তাঁদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।

ফজ্জর নূর নামে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী জানিয়েছে, পালা করে রোজ একজন ছাত্রীকে ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে হয়। গত মঙ্গলবার তার পালা ছিল। বুশারা তুফাইল ও রেহানা কৌশর নামে দুই শিক্ষিকা তাকে ক্লাস পরিষ্কার করতে বলেন। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় সে বলে, অন্যদিন এই কাজ করবে। তখন ওই দুই শিক্ষিকা তাকে পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে চড় সেই জায়গাটা পরিষ্কার করতে বলেন। সে ছাদ পরিষ্কার করতে অস্বীকার করায় ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বুশারা ও রেহানা। ফজ্জরের মা রুকসানা বিবি মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে আসার দাবি জানিয়েছেন।

পঞ্জাব প্রদেশের স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব আল্লা বকশ মালিক বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং কয়েকজন আধিকারিক শিক্ষা দফতরের কাছে এই ঘটনা গোপন করে যান। শনিবার তাঁরা এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাগমানা ইরশাদ এবং জেলা শিক্ষা দফতরের দুই কর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকাকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের আচরণবিধি সংক্রান্ত নিয়মানুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।