ইসলামাবাদ: গোপনে আধ্যাত্মিক গুরুমা-কে বিয়ের খবর অস্বীকার ইমরান খানের। তবে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক বুশরা মানেকা নামে ওই গুরুমা-কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র। ইমরানের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বুশরা তাঁর ছেলেমেয়ে সহ পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিয়ের প্রস্তাবের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চেয়েছেন।
প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তথা বর্তমান পাক রাজনীতির বিরোধী নেতা ইমরানের মুখপাত্র এও বলেন, এরকম একেবারেই ব্যক্তিগত, একটি অতি গোপনীয় বিষয়ে ভুল খবরকে কেন্দ্র করে লোকমুখে চর্চা হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখের। খবরটা ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত নিন্দার কারণ তা এমন এক মহিলাকে ঘিরে যিনি প্রকাশ্য জনজীবনে নেই, একান্ত ব্যক্তিগত পরিধির মধ্যে গুটিয়ে রাখেন নিজেকে। এমন গোপনীয়, ব্যক্তিগত খবর মিডিয়া মারফত শুনতে হয়েছে বলে প্রবল চাপে মানেকা ও ইমরানের সন্তানরাও। মানেকা যদি বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দেন, তাহলে প্রকাশ্যে ইমরানই তা ঘোষণা করবেন। ততদিন আমরা মিডিয়াকে বিশেষত, দুটি পরিবারের সন্তানদের গোপনীয়তাকে সম্মান দেখাতে অনুরোধ করছি।
গতকাল পাক মিডিয়াই ইমরান গত ১ জানুয়ারি মানেকাকে বিয়ে করেছেন বলে খবর ফাঁস করে শোরগোল ফেলে দেয়। যদিও ইমরান সোজাসুজি তা অস্বীকার করেন। দি নিউজ এক প্রতিবেদনে দাবি করে, ১ জানুয়ারি রাতে লাহোরে বিয়ে করে পরদিনই ইসলামাবাদে সন্ত্রাস দমন আদালতে হাজিরা দেন, জামিন পান ইমরান। বিয়েটা করিয়ে দেন তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফের কোর কমিটির সদস্য মুফতি সঈদ।
ইমরান নাকি গত কয়েক বছর ধরে আধ্যাত্মিক দিশা পাওয়ার জন্য মানেকার কাছে যাচ্ছেন। মানেকার বয়স চল্লিশের ঘরে। তাঁর বিয়ে হয়েছে ইসলামাবাদের শীর্ষ শুল্ক কর্তা জনৈক খাওয়ার ফরিদ মানেকার সঙ্গে।
ইমরানের প্রথম বিয়ে হয়ে ১৯৯৫ সালে, জেমাইমা খানের সঙ্গে। ২০০৪ সালেই ডিভোর্স। তারপর টিভি সঞ্চালক রেহামকে বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়ে ১০ মাস স্থায়ী হয়।