জেনেভা: রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব আনতে ফের ব্যর্থ পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। সমর্থন জোগাড়ের জন্য ইসলামাবাদ মরিয়া চেষ্টা করলেও ৫৭ দেশের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি-কেও পাশে পায়নি তারা। এটা পরিষ্কার, জম্মু কাশ্মীরকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরার জন্য দিল্লির কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে।


৪৭ সদস্যের রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠায় ভারত। নেতৃত্বে ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া। গত সপ্তাহে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেছিলেন, মানবাধিকার পরিষদে তাঁদের সঙ্গে ৫৮ রাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে, সকলে চায়, কাশ্মীর থেকে কড়াকড়ি উঠে যাক, স্থানীয়দের অধিকার রক্ষিত হোক। তাঁর বক্তব্য নিয়ে তখন বিতর্ক ওঠে, বলা হয়, খোদ পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীই মানবাধিকার পরিষদের কটি সদস্য দেশ তা জানেন না, ৫৮ দেশের সমর্থন তো দূরের কথা, পরিষদে সদস্য সংখ্যাই মাত্র ৪৭!

এর আগে ১২ তারিখ জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য উড়িয়ে দেয় ভারত। বলে, জম্মু কাশ্মীর নিয়ে তারা মিথ্যে গল্প ছড়াচ্ছে, অথচ তাদের দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদী ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ‘বিকল্প কূটনীতি’ হিসেবে সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোই তাদের লক্ষ্য।