ওয়াশিংটন: ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ বেরনো ইমরান খানের নিবন্ধ ট্যুইট করে তাঁকে উপমহাদেশে উত্তেজনা, অস্থিরতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করলেন ভারতে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিম রোয়েমার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেই নিবন্ধে কাশ্মীর ইস্যুতে পরিস্থিতি পরমাণ যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে বলে গোটা দুনিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ভারতে কাজ করে যাওয়া রোয়েমার বলেছেন, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, উপমহাদেশে অস্থিরতায় ইন্ধন দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে মার্কিন নীতিকে ‘ভারতের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে নিবদ্ধ রাখা’ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘আসল ফল’ দেখানোর জন্য পাকিস্তানকে চাপ দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।


দিনকয়েক আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রয়াণেও শোক প্রকাশ করে রোয়েমার ট্যুইট করেছিলেন, আমার বন্ধু, ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সম্প্রতি চলে গেলেন। একজন সেতু নির্মাতা, দারুণ আইনজীবী, বিরাট ক্রিকেটপ্রেমী ছিলেন। একজন নিবেদিতপ্রাণ জনসেবককে হারাল ভারতের জনগণ।
২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা রোয়েমার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ শিল্প ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বাণিজ্যিক বিক্রি সহ একাধিক প্রধান পলিসি ও উদ্যোগের রূপায়ণে নজরদারি চালিয়েছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য লেনদেন, হোমল্যান্ড নিরাপত্তা, সীমান্ত সুরক্ষা, অবৈধ আর্থিক লেনদেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়ার মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা উদ্যোগে সই হওয়ার প্রক্রিয়াতেও তদারক করেছিলেন তিনি। পরমাণু শক্তি সহযোগিতায় বিশ্ব কেন্দ্র গঠনে ভারতকে সহায়তার ক্ষেত্রেও কাজ করেছিলেন তিনি। বাণিজ্য ও রপ্তানির ওপর গুরুত্ব দিতেন তিনি। ভারতকে আমেরিকার ২৫-তম বৃহত্তম বাণিজ্য শরিক থেকে ১২ নম্বরে উঠে আসতেও সাহায্য করেছিলেন রোয়েমার।