ইসলামাবাদ: সরকার বিরোধী পদযাত্রায় এলোপাথাড়ি গুলি (Pakistan Gujranwala Firing)। গুলিবিদ্ধ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan Injured)। সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। এ বার সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির স্বীকারোক্তি বলে দাবি করে একটি ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে এক ব্য়ক্তি ইমরানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন ইমরান। উৎপাত করছেন। তাই ইমরানকে নিকেশ করতে উদ্যত হন তিনি। 


পদযাত্রা চলাকালীন পাকিস্তানে গুলিবিদ্ধ ইমরান খান


বিভিন্ন পাক সংবাদমাধ্য়ম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই 'স্বীকারোক্তি' ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে ইমরানের উপর কেন গুলি চালালেন জিজ্ঞাসা করতে, ওই ব্যক্তি বলেন, "উনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছিলেন। বিপথে চালিত করছিলেন মানুষকে। তাই খুনের চেষ্টা করি। শুধু ওঁকেই মারতে চেয়েছিলাম। আর কাউকে নয়।"


ইমরানের উপর  হামলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দাবি করছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। কিন্তু ভিডিওয় ওই যুবক বলেন, "আমার বিবেক মানতে পারছিল না। লাহৌর থেকে যেদিন পদযাত্রা শুরু করেন, সেই দিনই বিষয়টি মাথায় আসে। আমার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত নেই। সকালে একাই বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। মামার বাইকের দোকান রয়েছে। সেখানে বাইক রেখে আসি।"



আরও পড়ুন: Pakistan Gujranwala Firing: পদযাত্রায় চলল গুলি, পাকিস্তানে গুলিবিদ্ধ ইমরান, আহত আরও ৭


বৃহস্পতিবার, সপ্তম দিনে গুজরানওয়ালায় পদযাত্রা নিয়ে বেরিয়েছিলেন ইমরান। সেই সময়ই পর পর এলোপাথাড়ি গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক। ইমরানকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর দুই পায়ে গুলি লেগেছে। আহত হয়েছেন এক শিশু-সহ আরও কয়েক জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমরানের দলের নেতা ফয়জল জাভেদও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।


ইমরানের দুই পায়ে চারটি গুলি লেগেছে


ইমরানের দুই পায়ে চারটি গুলি লেগেছে বলে খবর। হাঁটার ক্ষমতা নেই তাঁর। প্রচুর রক্তপাতও হয়। কোনও রকমে কন্টেনার থেকে ধরাধরি করে গাড়িতে তোলা হয় তাঁকে। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় লাহৌরের হাসপাতালে। সেখানেও পাঁজকোলা করে তুলেই হাসপাতালে ঢোকানো হয় ইমরানকে। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।