ইসলামাবাদ: ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঐক্যর ছবি তুলে ধরার প্রচেষ্টা শুরুতেই জোরাল ধাক্কা খেল। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান ইমরান খান পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। ইমরান বলেছেন, এই যৌথ অধিবেশনে যোগ দেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বকে 'অনুমোদন' দেওয়া। সেই কাজ করবে না তাঁর দল।
গত সপ্তাহে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তা  নিয়ে আলোচনা করতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশন ডাকেন শরিফ।
কিন্তু দলের বৈঠকের পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত শরিফ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে চান তিনি। যৌথ অধিবেশনে যোগ দিলে সেই শরিফের নেতৃত্বকেই 'অনুমোদন' দেওয়া হবে।
ইমরান বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমরা মনে অধিবেশনে যোগ দেওয়া মানে তাঁর নেতৃত্বকে অনুমোদন দেওয়া হবে। কিন্তু পানামা ফাঁসের পর শরিফ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন'।
ইমরান আরও বলেছেন, পেশোয়ারে স্কুলে জঙ্গি হামলার পর ঘোষিত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়িত করতেও ব্যর্থ হয়েছেন শরিফ। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত জবাব দিতেও শরিফ ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি ইমরানের।
ইমরান বলেছেন, উরি হামলার পর যখন উত্তেজনা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তখন লন্ডনে শপিং করছিলেন শরিফ।