বেজিং: জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহার সম্পর্কে চিনের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য সওয়াল করলেন সেদেশেরই এক প্রাক্তন কূটনীতিক। উল্লেখ্য, পাঠানকোট হামলার মূল চক্রী পাক জঙ্গি মাসুদের ওপর রাষ্ট্রপুঞ্জ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারির প্রচেষ্টা করছে ভারত। কিন্তু এক্ষেত্রে বাধার প্রাচীর গড়ে তুলেছে চিন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হিসেবে বিশেষ অধিকার কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকবারই কুখ্যাত জঙ্গি মাসুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব আটকে দিয়েছে বেজিং। কিন্তু দেশের এই অবস্থানের বিপরীতে দাঁড়িয়ে চিনের ওই প্রাক্তন কূটনীতিক মাও সিওয়েই মাসুদকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে বলেছেন, বেজিংকে পরিস্থিতি অনুসারে অবস্থান ‘সংশোধন’ করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাসুদকে ঘিরে ভারত-চিন সম্পর্কে অচলাবস্থা সম্পর্কে এক দীর্ঘ ব্লগে মাও সিওয়েই লিখেছেন, অভিযোগকে ‘দুই দেশের কূটনৈতিক চাপানউতোরের অবসান ঘটাতে মাসুদের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত চিনের।
মাও সিওয়েই ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত চিনের প্রাক্তন কনসাল জেনারেল। তাঁর ব্লগটি প্রকাশিত হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর। এর দুদিন আগেই চিন মাসুদ সম্পর্কে ভারতের আবেদনে ‘টেকনিক্যাল হোল্ড’ প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেছিল।
মাও সিওয়েই তাঁর ব্লগে জেইএম এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি কীভাবে হামলা চালিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা ভেস্তে দেয় তার ইতিহাস আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন।
পাঠানকোট হামলায় মাসুদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রদত্ত তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে মাও সিওয়েই বলেছেন, মাসুদকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে ভারত যে আবেদন জানিয়েছে তা খতিয়ে দেখে চিনের অবস্থান সঠিক করা উচিত ।
চিনের পক্ষ থেকে মাসুদের ব্যাপারে ভারতের আর্জি আটকে দেওয়ার পক্ষে নানান যুক্তি দেখানো হলেও সে দেশের কূটনৈতিক মহলে যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মতপার্থক্য রয়েছে তা মাও সিওয়েইয়ের ব্লক থেকেই স্পষ্ট।
২০০৭ থেকে ১০ পর্যন্ত মাও সিওয়েই কলকাতার চিনের কনসাল জেনারেল থাকার আগে দিল্লিতে চিনের দূতাবাসে কাজ করেছেন এবং জেএনইউ-র ভিজিটিং স্কলারও ছিলেন তিনি।