নয়াদিল্লি:  কেউ না কেউ তো কাজ করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে। এই সন্দেহে সিরিয়ার আইএস জঙ্গিরা এবার নিজেদেরই ধারালো ছুরির তলায়। শত্রুর শেষ না রাখতে নিজেদের দলের লোকেদেরই নির্বিচারে খুন করছে তারা। কয়েক মাস ধরে আইএস কমান্ডারদের টার্গেট করেছে জোট সেনা। বেশ কয়েকজন শীর্ষ আইএস জঙ্গি মারাও পড়েছে তাদের হাতে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে আইএসের ‘যুদ্ধমন্ত্রী’ ওমর আল শিশানি, কুখ্যাত ইরাকি জঙ্গি শাকের উয়াহেব প্রমুখ। পরপর লোকসানে ক্ষেপে উঠেছে আইএস। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মোবাইল ফোনে কাউকে কথা বলতে দেখলে বা কারও কাছে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও সে উঠে যাচ্ছে সন্দেহভাজনের তালিকায়। মার্চে উত্তর সিরিয়ায় এক নামিদামি জঙ্গির দ্রোণ হামলায় মৃত্যু হওয়ায় আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। আইএসের বক্তব্য, ওই জঙ্গি নেতার গতিবিধি এমনই গোপনীয়তায় ভরা ছিল যে, ভেতরের কেউ খবর ফাঁস না করলে তার ওপর দ্রোণ হামলা কার্যত অসম্ভব। এরপর ক্ষ্যাপা কুকুরের মত নিজেদের মধ্যেই গুপ্তচরের সন্ধান করছে আইএস। ৩৮জন জঙ্গিকে এর মধ্যে জবাই-ও করেছে তারা। অন্যদের সাবধান করতে মৃতদেহগুলো প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কাউকে কাউকে আবার সর্বসমক্ষে অ্যাসিড ভর্তি পাত্রে চুবিয়ে মারা হয়েছে, যাতে অন্তত ভয়াবহ মৃত্যু ভয়ে কেউ বিগড়ে যাওয়ার চেষ্টা না করে। অনেককে জেলে পোরা হয়েছে, সন্দেহ আর একটু পাকাপোক্ত হলে খুন করা হবে বলে। ভয়ের চোটে অনেকেই দল ছেড়ে পালিয়েছে, যারা পালাতে পারেনি, তারাও রয়েছে আতঙ্কে। কসাই হয়ে মুরগি জবাইয়ে অসুবিধে হয় না ঠিকই কিন্তু সেই শানানো ছুরি যখন নিজের গলার রক্ত চায়, তখন তার স্পর্শ তেমন মধুর লাগে না কিনা।