নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে তাঁর প্রথম ভাষণে দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উপড়ে ফেলার ডাক দিয়েছিলেন। দুই দেশের শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার জন্য ইমরান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন। ভোটের প্রচারে তাঁর মুখে বহুবারই ‘নয়া পাকিস্তানে’র কথা শোনা গিয়েছে। কিন্তু তাঁর এই ‘নয়া পাকিস্তানে’র ধারনা বাস্তবে ঠিক উল্টো পথেই হাঁটছে। ইমরান একদিকে যখন ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে দাবি জানাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ই ইসলামাবাদে রবিবার তাঁর সরকারের মন্ত্রীকে একই মঞ্চে দেখা গেল ২৬/১১-র নৃশংস মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে। ধর্ম সংক্রান্ত ও বিভিন্ন ধর্মের সম্প্রীতি বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী নূর-উল-হক কাদরি দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল আয়োজিত সর্বদলীয় সম্মেলনে ভাষণ দিলেন। ওই মঞ্চে হাজির ছিলেন হাফিজ। উল্লেখ্য, ২০০৮-অ মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলায় ১৬৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই নারকীয় হামলার মূল মাথা হাফিজ। ওই সম্মেলনে ইমরান সরকারের মন্ত্রী কাদরি কাশ্মীর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন।
জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য আমেরিকা হাফিজের ১০ মিলিয়ন ডলার মাথার দাম ঘোষণা করেছে। তাঁর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে ২০১৪-র জুনে আমেরিকা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভোটে লড়াইয়ের জন্য হাফিজ রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। তাঁর সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগকে তড়িঘড়ি বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকাভূক্ত করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। পরে পাক নির্বাচন কমিশন হাফিজের দলকে ভোটে লড়ার অনুমতি দেয়নি। এরপর তারা আল্লা-উ-আকবর তেহরিকের মঞ্চে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়য ওই মঞ্চকে নথিভূক্ত করে পাক নির্বাচন কমিশন।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় সন্ত্রাসবাদে মদতদানের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ৯/১১-র হত্যাকারীরা শাস্তি পেয়েছে। কিন্তু ২৬/১১-র মূলচক্রী হাফিজ পাকিস্তানে অবাধে ঘোরাফেরা করছে।