ওয়াশিংটন: নিরীহ নাগরিকদের ওপর রাসায়নিক হামলা চালানোর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে আগেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এর জবাবে সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাল আমেরিকা। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় রক্তপাতের অবসান ঘটাতে বিশ্বের ‘সভ্য দেশ’গুলিকে আমেরিকার সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।


সিরিয়ার যে ঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছিল সেই বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে ৫০-৬০ টি টোমাহক ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। মার্কিন আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন।

মার-আ-লোগো রিসর্টে সাংবাদিকদের ট্রাম বলেছিলেন, যেখান থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছিল সেখানে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সিরিয়ার নিরীহ নাগরিকদের ওপর ওই রাসায়নিক হামলাকে ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আসাদ এভাবে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্বরোচিত ওই রাসায়নিক হামলায় বহু শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার যেন কোনও শিশুকে হতে না হয়।

ট্রাম্প বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রতিরোধ ও সে ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া আমেরিকার  জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের আর্জি উপেক্ষা করেছেন।

ট্রাম্প বলেছেন, আসাদের আচরণ বদলানোর যে চেষ্টা আগে নেওয়া হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। এরফলে শরনার্থী সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়েছে। ওই অঞ্চল চূড়ান্তভাবে অস্থির হয়ে পড়েছে যা আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলির কাছে খুবই বিপজ্জনক।

সিরিয়ার গণহত্যা ও রক্তপাত এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের অবসানের জন্য সমস্ত দেশগুলিকে আমেরিকার সঙ্গে যোগদানের আর্জি জানিয়েছেন ট্রাম্প।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেছেন, সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলার ব্যপারে আগেই রাশিয়াকে জানানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের দখলে থাকা খান শেইখুনে রাসায়নিক হামলা চালানো হয় বলে সন্দেহ। ওই আক্রমণে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সিরিয়ার সেনা রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।