গতকাল পরিষদের স্থায়ী সদস্য তথা পাকিস্তানের সর্বক্ষণের বন্ধু বলে পরিচিত চিনের অনুরোধে কাশ্মীর সংক্রান্ত বৈঠকটি হয় এক ঘন্টার ওপর। তারপর রাষ্ট্রপুঞ্জে বেজিংয়ের দূত ঝাং জুন ও সেখানে পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি পরপর মিডিয়ার সামনে বক্তব্য পেশ করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন না নিয়ে তাঁরা চলে যান। তবে সেখানে থেকে যান আকবরউদ্দিন। সেখানে কাশ্মীর ও ৩৭০ অনুচ্ছেদের ব্যাপারে ভারতের বক্তব্য, অবস্থান জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্ন আহ্বান করে বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে চাইলে উত্তর দিতে তৈরি আমি। এও জানান, তিনি ৫টি প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি প্রথম তিনটি প্রশ্ন নেন পাকিস্তানি সাংবাদিকদের থেকে।
এক পাক সাংবাদিক জানতে চান, ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হবে কিনা। আকবরউদ্দিন বলেন, বিভিন্ন দেশ পরস্পরের সঙ্গে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। সেটাই আলোচনার রাস্তা। কিন্তু সন্ত্রাসকে বাড়তে দিয়ে কাজে লাগানো ও লক্ষ্যপূরণে এগনোর রাস্তায় সুস্থ, স্বাভাবিক দেশগুলি হাঁটে না। সন্ত্রাস যখন বাড়ে, তখন কোনও গণতান্ত্রিক দেশই আলোচনা বা কথাবার্তা মানবে না। সন্ত্রাস বন্ধ করে আলোচনা শুরু করুন। আরেক পাক সাংবাদিক কখন আপনারা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা শুরু করবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাহলে আমায় শুরু করতে দিন আপনার কাছে গিয়ে হাত মিলিয়ে, আপনাদের তিনজনের সঙ্গেই। এরপর মঞ্চ থেকে নেমে তিন পাক সাংবাদিকের কাছে হেঁটে গিয়ে হাসিমুখে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান আকবরউদ্দিন। সেখানে তখন উপস্থিত সকলেই হর্ষধ্বনি করে তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি আরও বলেন, তাহলে আমি বলছি, আমরা ইতিমধ্যেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে বলেছি, সিমলা চুক্তির প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। পাকিস্তানের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।