ডেনমার্কের অন্তর্গত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড। বেশিরভাগটাই বরফে ঢাকা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ওয়াকিবহাল মহলের সূত্র উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার জানায় যে, ওই অঞ্চলটি আমেরিকার পক্ষে অধিগ্রহণ করা সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে পরামর্শদাতাদের কাছে জানতে চান ট্রাম্প।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, রিয়েল এস্টেটের প্রাক্তন বড়সড় ব্যবসায়ী ট্রাম্প ওই এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভূরাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আগ্রহী। ৭৭২,০০০ বর্গ মাইল আয়তনের এই দ্বীপটিতে অষ্টাদশ শতকে উপনিবেশ গড়েছিল ডেনমার্ক। বর্তমানে তা স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। জনসংখ্যা ৫৭,০০০। যাঁদের বেশিরভাগই আদিবাসিন্দা ইনুইট সম্প্রদায়ের।
ট্রাম্পের এই ইচ্ছে নিয়ে হোয়াইট হাউস এবং ওয়াশিংটনের ডেনমার্ক দূতাবাসের কাছ থেকে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কিন্তু গ্রিনল্যান্ডের বিদেশবিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় রাজি, ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে নয়। মন্ত্রকের ট্যুইট- খনিজ, পরিশুদ্ধ জল, বরফ, মত্স্যসম্পদ, সামুদ্রিক খাবার, পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সম্বৃদ্ধ এবং এখানে রয়েছে অ্যাডভেঞ্চারমূলক পর্যটনের সুযোগ। আমরা ব্যবসার জন্য প্রস্তত, বিক্রির জন্য নয়।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের অফিস থেকে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লার্স লোক্কে রসমুসেন বলেছেন, এটা মনে হয় এপ্রিল ফুলের রসিকতা..।
ট্রাম্পের কয়েকজন পরামর্শদাতা বলছেন, কানাডার দক্ষিণ-পূর্বে থাকা গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ আমেরিকার পক্ষে ভালো হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন,এটা প্রেসিডেন্টের মোহ-মাত্র।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের বাইরের লোকজন অবশ্য কটাক্ষ করে বলছেন, ট্রাম্পের এই আগ্রহ শুধুমাত্র তাঁর কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যাওয়ার খোয়াব হতে পারে। এর পিছনে কোনও সামরিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিনা, তা নিয়ে বিস্মিত পরামর্শদাতারা। গত কয়েক দশক ধরেই এই দ্বীপে মার্কিন বিমান ঘাঁটি রয়েছে।