ঢাকা: ভারতের পাশেই বাংলাদেশ। ভারতের পর ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন বয়কটের রাস্তায় হেঁটেছে তারা। এবার  পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনার জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়ার পদক্ষেপকেও পূর্ণ সমর্থন জানাল পড়শী দেশটি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ইকবাল চৌধুরি সাফ বলেছেন, নিজের সার্বভৌমত্ব ও দেশের মাটিতে যে কোনও আক্রমণের জবাব দেওয়ার যাবতীয় আইনি ও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত অধিকার আছে ভারতের। পাশাপাশি অবশ্য ঢাকার তরফে সব পক্ষকে ‘সংযত থাকা’র আবেদনও করা হয়েছে।


কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে হাসিনার ওই পরামর্শদাতা বলেন, এটা দ্বিপাক্ষিক বিতর্কের বিষয়। কাশ্মীর নিয়ে বহুদিন ধরেই লাগাতার বিতর্ক চলছে। এক্ষেত্রে এক পক্ষের ওপর অপর তরফ হামলা করেছে। বাংলাদেশ সবসময় মনে করে, যে কোনও সার্বভৌমত্ব ও আইনি এক্তিয়ারের ওপর যে কোনও আক্রমণ বা আগ্রাসন কখনই মেনে নেওয়া যায়  না, বাংলাদেশ এও বলে, যে কোনও দেশের আরেকটি দেশের সার্বভৌমত্বকে সর্বদা সম্মান করা উচিত।

চৌধুরি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার  পরই এটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের মাটিতে কোনও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ঠাঁই হবে না, সেখানে বসে ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর কোনও ছক তৈরি করা যাবে না। এই অবস্থানের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা পালন  করছে বাংলাদেশ। এ ধরনের যে কোনও কার্যকলাপ সম্পর্কে জিরো টলারেন্স অর্থাত বিন্দুমাত্র সহ্য না করার নীতি নিয়েছে তাঁদের দেশ।

একটি ভারতীয় টিভি চ্যানেলকে তিনি ফোনে এও বলেন, আমার মতে, ভারত সরকার ও জনগণের দুনিয়ার যে কোনও প্রান্ত থেকে, এমনকী প্রতিবেশী দেশ থেকে হলেও, যে কোনও ধরনের আক্রমণ ফিরিয়ে দেওয়ার  পূর্ণ এক্তিয়ার আছে। তবে পড়শী, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সংযম বজায় রাখার আবেদনও জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশ চায় এ ধরনের পরিস্থিতিতে সব পক্ষেরই সংযত থাকা কাম্য। কেননা আমরা  মনে করি, সার্ক দেশগুলির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে, পরস্পরের সার্বভৌমত্বকে মর্যাদা দিয়ে  পাশাপাশি থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।