পাক সেনার বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি বলে দাবি করে সেগুলির ওপর সার্জিকাল অভিযান চালানোর কথা ছড়িয়ে ভারত ইচ্ছা করেই বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যাতে একটি মিথ্যা, অসার প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সীমান্ত সংঘর্ষকে সার্জিকাল আঘাত বলে চালিয়ে মিডিয়া হাইপ তোলার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের এই প্রয়াসে সত্যকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা হয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, পাক মাটিতে সার্জিকাল অভিযান হলে তার পাল্টা সমুচিত জবাবও মিলবে।
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও বলেছেন, ভারত গতকাল রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে শুধু হালকা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে, যার যোগ্য জবাবও দিয়েছেন পাক জওয়ানরা। ভারতের দাবি খারিজ করে এক বিবৃতিতে পাক বায়ুসেনা বলেছে, এ ধরনের যে কোনও হামলার জবাব দিতে তৈরি পাকিস্তান।
নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ‘বিনা প্ররোচনায় নগ্ন আগ্রাসন’ চালিয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। পাক সশস্ত্র বাহিনী দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পূর্ণমাত্রায় সক্ষম বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের শান্তি বজায় রাখার বাসনাকে যেন তার দুর্বলতা ধরে নেওয়া না হয়, হুঁশিয়ারি দেন শরিফ। পাক সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও প্ররোচনা ছাড়াই ভারতীয় বাহিনীর নগ্ন আগ্রাসনে নিয়ন্ত্রণরেখায় দুজন পাক সেনা শহিদ হয়েছেন। এর তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের বীর জওয়ানরা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার যে কোনও হীন প্রয়াস রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
পাক বিদেশমন্ত্রকের কার্যালয়ও নিয়ন্ত্রণরেখায় ‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই’ ভারত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলে তার তীব্র নিন্দা করেছে, দাবি করেছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী এর যোগ্য জবাব দিয়েছে, ভবিষ্যতেও যে কোনও আগ্রাসন সজোরে ফিরিয়ে দেবে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে সার্জিকাল অভিযান চালিয়েছে, এহেন ভিত্তিহীন দাবিও খারিজ করছে পাকিস্তান। ভারতীয় পক্ষ তাদের মিডিয়াকে এমন মিথ্যা খবরই গেলানোর রাস্তা নিয়েছে।