নয়াদিল্লি: বিজয় মাল্যকে ভারতে পাঠাতে ব্রিটেনের কাছে লিখিত অনুরোধ জানাল নয়াদিল্লি। ৯৪০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক ঋণ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় মাল্যর কিংফিশার এয়ারলাইন্স। ইতিমধ্যেই লিকার ব্যারন মাল্যের পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এগুলির উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিটেনকে পাঠানো আবেদনে। মাল্যকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে যাবে বিদেশমন্ত্রক, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপের কথায়। বিদেশ মন্ত্রক মাল্যের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার চারদিন বাদে বৃহস্পতিবার স্বরূপ বলেন, মন্ত্রক দিল্লিস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনকে লিখিত অনুরোধ পাঠিয়েছে, যাতে বিজয় মাল্যকে তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। ২০০২ সালের বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য তাঁকে হাজির করা সনজন্যই এটা প্রয়োজন।


ব্রিটেনে ভারতীয় হাইকমিশনও সে দেশের বিদেশ ও কমনওয়েলথ অফিসে একই আর্জি জানিয়ে নোট পাঠাবে বলেও জানান স্বরূপ। বলেন, বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনের আওতায় তদন্তের প্রেক্ষাপটে মাল্যর পাসপোর্ট গত সপ্তাহে বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ বিচারক তাঁর নামে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছেন। আমরা মাল্যর বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বোঝাপড়া চালিয়ে যাব।

প্রসঙ্গত, আইডিবিআইয়ের ৯০০ কোটি টাকা লোন জালিয়াতি মামলায় মাল্যর বিরুদ্ধে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নিতে ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট শাখা (ইডি)।

গত ২ মার্চ ভারত ছেড়ে ব্রিটেন চলে যাওয়া মাল্যকে শেষ পর্যন্ত ভারতে নিয়ে আসা যাবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কেননা এখন মাল্য চাইলে ব্রিটেনে তাঁকে টানা থাকতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে সে দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারেন বা তাঁর পাসপোর্ট বাতিলের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জও জানাতে পারেন।