একদিকে সন্ত্রাস ও হিংসাকে মদত, অন্যদিকে আলোচনা নিয়ে চাতুরিতাপূর্ণ অবস্থান- সারা বিশ্বের কাছেই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে হিংসার উল্লেখ করে ইমরান ট্যুইট করে বলেন, ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ও কাশ্মীরী জনগনের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে ভারতকে’।
ইমরানের মন্তব্যের জবাবে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানের নিজের চরকায় তেল দেওয়া এবং নিজেদের সমস্যাগুলি নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত। ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদীদের মহান করা ও তাদের মদতদান থেকে বিরত হওয়া উচিত ইসলামাবাদের।
উল্লেখ্য, এই প্রথম কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেন না ইমরান। গত জুলাই মাসের ভোটে দলের জয়ের পর ভাষণে ইমরান ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতির আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, দু পক্ষের নেতৃবৃন্দ 'মূল সমস্যা' কাশ্মীর সহ অন্যান্য বিতর্ক আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবে, এমনটাই চাইবে তাঁর সরকার।
ইমরান আরও বলেছিলেন, ভারত-পাক সুসম্পর্ক সমগ্র অঞ্চলের পক্ষেই লাভজনক।
ইমরানের আগ্রহ প্রকাশের পর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনের অবকাশে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকের কথা ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর হাতে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের হত্যা এবং পাকিস্তানের ডাক ডিকিটে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদীদের মহান করে তুলে ধরার প্রতিবাদে নয়াদিল্লি ওই বৈঠক বাতিল করে দিয়েছিল।